Holi Celebrations Of Asthma Patients : শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে? সুস্থ থেকেও কী ভাবে দোল খেলবেন?

Mar 13, 2025 | 6:24 PM

Holi Celebrations Of Asthma Patients: যাঁদের অ্যাস্থমা বা শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য বেশ চিন্তার এই উৎসব। যদি আগে থেকে সাবধান না হন, তাহলে এই দোল খেলা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। কী করবেন?

Holi Celebrations Of Asthma Patients : শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে? সুস্থ থেকেও কী ভাবে দোল খেলবেন?

Follow Us

স্কুলে-কলেজে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দোলের উদযাপন। শুক্রবার দোল, পরের দু’দিন আবার শনি-রবি। সুতরাং এবারে হোলি ৩ দিনের বললেও খুব একটা ভুল বলা হবে না। বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে জমিয়ে দোল খেলা। চারিদিকে উড়বে আবির, ভরবে রঙের ছটায়।

এই উৎসব যতটা আনন্দের, ততটাই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে কিছু লোকের জন্য। যাঁদের অ্যাস্থেমা বা শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য বেশ চিন্তার এই উৎসব। যদি আগে থেকে সাবধান না হন, তাহলে এই দোল খেলা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। কী করবেন? সুরক্ষিত থেকেও কী ভাবে দোলের আনন্দ উপভোগ করবেন?

১। দোলের দিন বাতাসে ভেসে বেড়ায় রঙিন আবির। তাই বারান্দায় গেলেও মাস্ক পরে থাকুন। আবির নাকে ঢুকে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। রঙের গন্ধেও অনেকের কষ্ট হয়। সে ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করলে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। আবির মাখলেও তার পরিমাণ যেন সামান্যই হয়। দোল খেললেও মুখ থেকে মাস্ক সরাবেন না।

২। রং খেলুন, তাতে আপত্তি নেই। তবে শরীরের কথা ভুলে গেলেও চলবে না। ভেষজ আবির ব্যবহার করতে পারেন। তা হলে যদি একটু বেশি আবির গালে মেখেও ফেলেন, খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এতে ত্বকের বা চুলের খুব একটা ক্ষতি হয় না।

৩। আবির মেখে রোদে বেরোবেন না একেবারেই। তা হলেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। রং খেলতে হলে সকালের দিকে খেলাই ভাল। ওই সময় রোদের তীব্রতা কম থাকে। বেলা বাড়লে রোদ চড়া হতে থাকে। চড়া রোদে অল্পে শরীর খারা হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।

৪। দোল মানেই ঠান্ডাই, ভাং। বন্ধুদের সঙ্গে এই সব খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে এই পানীয়ের থেকে দূরে থাকতে হবে। অনেকের ঠান্ডাই বা ভাং থেকে অ্যালার্জি হয়ে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আবার বরফ দেওয়া ঠান্ডাই বেশি খেলে এই মরসুম বদলের সময় ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হতে পারে। সেখান থেকেই হতে পারে শ্বাসকষ্ট।

মনে রাখবেন শরীর আপনার। তাকে ভাল রাখার দায়িত্বও আপনার। এমন কিছু করবেন না যাতে সাময়িক আনন্দে বড় কোনও কোনও বিপদের কারণ হয়ে ওঠে।