করোনার সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের সঙ্গে উপরি পাওয়া ওয়ার্ক ফ্রম হোম। বাড়িতে বসে নাগাড়ে ল্যাপটপের দিকে কাজ করার রুটিন এখন মোটামুটি প্রায় সকলেরই জীবনের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। একদিকে এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম যেমন বেশ কিছু সুবিধা দিয়েছে, তেমনই প্রতিনিয়ত অনেক অসুবিধারও সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের। তার মধ্যে অন্যতম হল চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।
ইদানীং যেসব চোখের সমস্যায় আমরা ভুগছি-
১। চেখে জ্বালা করা বা চুলকানো।
২। চোখের চারপাশে ফোলা ভাব।
৩। চোখ থেকে জল পড়া।
৪। মাঝে মাঝে দৃষ্টি শক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
এইসব সমস্যা হলে নিঃসন্দেহে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেওয়াই উচিত। বেশি বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই সমস্যা বুঝে তা নিরাময়ের উপায় জেনে নেওয়া উচিত। কিন্তু তার সঙ্গে প্রতিদিন আমরা নিজেরাও কয়েকটা নিয়ম মেনে চলতে পারি। তার ফলে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতিই হবে।
কী কী করা প্রয়োজন?
১। যাঁরা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে নাগাড়ে কাজ করছেন, মাঝে মাঝে কাজ থেকে ব্রেক নিয়ে একটু ঠাণ্ডা পরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন। এতে আরাম পাবেন। তাছাড়া চোখে অ্যালার্জি বা কোনওরকম র্যাশের সমস্যা হবে না।
২। রুটিন করে স্ক্রিন টাইম কমানোর চেষ্টা করুন। অর্থাৎ একদিনে সমস্ত গ্যাজেট, ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে স্ক্রিন টাইম কমান। অর্থাৎ ফোন ঘাঁটার স্বভাব কমানো প্রয়োজন।
৩। ঘুমোতে যাওয়ার সময় কোনওভাবেই সঙ্গে ফোন রাখবেন না। ফোনের নীলাভ আলো ত্বকের জন্যও খুবই ক্ষতিকর। তাছাড়া এই আলো ঘুম কমিয়ে দেয়। ফলে স্লিপ সাইকেল নষ্ট হয়ে আপনার স্লিপিং ডিসঅর্ডার হতে পারে।
৪। ল্যাপটপ বা ফোনে কাজ করার সময় পর্যাপ্ত আলোয় বসে কাজ করুন। একটানা কখনই স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকবেন না। এটা চোখের পক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিকর। রাতে কাজ করতে হলে প্রয়োজনীয় ভাল চশমা পরে কাজ করুন। এমন চশমা কিনুন, যা নীলাভ আলো থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করবে
আরও পড়ুন- Sleep-Cycle নষ্ট, CORONASOMNIA-র জেরে কতটা নষ্ট আপনার মানসিক স্বাস্থ্য; কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
৫। সুস্বাস্থ্যের পরিচিত প্রবাদ, আপনি যা খাবেন, সেটাই আপনার শরীরে প্রভাব ফেলবে। এখন যেহেতু বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে থাকা তাই স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়াদাওয়ার প্রতি নজর দিন। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সবুজ শাকসবজি খান। এছাড়া প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং প্রোটিনও খাবারদাবারের মাধ্যমেই শরীরে যাওয়া প্রয়োজন।
৬। একটানা কাজ করবেন না। একটানা স্ক্রিনে তাকিয়ে না থেকে, বরং মাঝে মাঝে চোখকে একটু বিশ্রাম দিন। সেই সময় চোখ বুজে থাকুন। বারে বারে চোখ ধোয়ার অভ্যাস করুন।
৭। পর্যাপ্ত ঘুমও প্রয়োজন। তাহলেই চোখের বিশ্রাম সম্ভব।