যে ভাবে গরম বাড়ছে তাতে জল ছাড়া অন্য কোনও কিছু খাওয়ার ইচ্ছেও থাকছে না। এই সময় শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা ভীষণ রকম জরুরি। বাড়িতে ফ্যানের তলায় বসে থাকলেও কুলকুলিয়ে ঘাম হচ্ছে। কাজের প্রয়োজনে যাঁদের রোজ বাইরে বেরোতে হচ্ছে তাঁদের অবস্থা আরও বেশি সঙ্গিন। গরমের সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও বেশি। যে কারণে সমস্যয়া আরও অনেক বেশি হচ্ছে। গরমের দিনে পেট ফেঁপে যাওয়া, শরীর ফুলে যাওয়া এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও কিন্তু খুবই সাধারণ। সেই সঙ্গে মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, শরীরে অস্বস্তি-সহ একাধিক সমস্যা লেগেই থাকে। এই সব কারণের জন্যই গরমে হালকা খাওয়া-দাওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এককাপ ধোঁওয়া ওঠা চা যে কোনও সময়েই আমাদের মন ভাল করে দেয়। কিন্তু গরমের দিনে গরম খাবারের কথা ভাবতেও যেন ভয় লাগছে। সারা বছর সহকর্মীদের সঙ্গে চায়ের ব্রেকে আড্ডা চললেও এই গরমে এসি ছেড়ে সচরাচর কেউ বাইরে বেরোতে চাইছেন না। তবে আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে এই চা বানাতে পারলে শরীর যেমন ভাল থাকবে তেমনই কিন্তু একাধিক উপকারিতাও পাওয়া যাবে। আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার সন্ধান চান এই মিরাকেল চায়ের। এই চা গরমে খেতেও যেমন ভাল লাগবে তেমনই কিন্তু শরীরের জন্যেও উপকারী। গরমে মাথাব্যথা, পেটব্যথা, পেটে ফোলা ভাব, অস্বস্তি ইত্যাদি থেকেও কিন্তু রক্ষা করে।
পুদিনা, ধনে আর জিরে ব্যবহার করে বানানো হয়েছে এই চা। আর এই চা আমাদের শরীরের জন্য খুবি ভাল। মশলা হিসেবে জিরে, ধনের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খুবই ভাল এই চা। একই সঙ্গে গরমে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তো রয়েইছে। আর তাই গরমের দিনে এই চা কিন্তু খুবই ভাল।
কী ভাবে বাড়িতে বানাবেন এই মিরাকেল চা–
একটি পাত্রে ১ গ্লাস জল বসিয়ে ফুটতে দিন
এবার এর মধ্যে ৫-৭টি পুদিনা পাতা, ১ চামচ গোটাজিরে, ১ চামচ গোটা জিরে একসঙ্গে মিশিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন
এবার এই চা ছেঁকে নিয়ে গরম গরম খান।
কাশি, বদহজম, ব্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, সাইনাস- এই যে কোনও সমস্যাতেই কিন্তু খুব ভাল কাজ করে মিরাকেল চা। নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে কিন্তু পেটের কোনও সমস্যা হবে না। হজমের অসুবিধেও দূর হবে। তবে এই চা কিন্তু শুধুমাত্র গরমে নয়, সারা বছরই খাওয়া যেতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Ayurvedic Tips: মুঠো মুঠো ওষুধ আর নয়, গ্রাম বাংলার এই শাকেই লুকিয়ে সঞ্জীবনী গুণ