Sleeping Problems: ৩০-৪০ মিনিট শুয়ে থাকলেও ঘুম আসছে না? এই তিনটি পদ্ধতি মেনে চলুন আর উপকার পান…
অনেকেই আছেন যারা ক্লান্তি বা ঘুম নিয়ে বিছানায় গেলেও সহজে ঘুমোতে পারেন না। বরং, ঘুম না আসায় বেশ সমস্যায় পড়েন। মাঝে মাঝে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট কেটে গেলেও ঘুম আসতে চায় না।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের কাজের চাপেই হোক কিংবা অভ্যাসগত কারণে, ঘুম ঠিকঠাক হয় না। আমাদের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা যায়। আমরা মনে করি, আজকের ঘুমটা আগামীকাল ঘুমিয়ে নেওয়া যাবে। অর্থাৎ, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ৮ ঘণ্টার ঘুমের মধ্যে একদিন ধরুন আপনি ৫ ঘণ্টা ঘুমোলেন, আর ভাবলেন, পরেরদিন ১১ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেবেন। এমন চিন্তা ভাবনা সবার আগে মাথা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।
ঘুম আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে খাওয়াদাওয়ার মতোই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একদিন কম খেয়ে পরের দিন বেশি খেলে যেমন আগেরদিনের পুষ্টির অভাব পূরণ হয় না, তেমনই প্রতিদিনের নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়।
অনেকেই আছেন যারা ক্লান্তি বা ঘুম নিয়ে বিছানায় গেলেও সহজে ঘুমোতে পারেন না। বরং, ঘুম না আসায় বেশ সমস্যায় পড়েন। মাঝে মাঝে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট কেটে গেলেও ঘুম আসতে চায় না। চিন্তা নেই। ঘুম নিজে থেকে না এলে, তাকে আনানোর কয়েকটা উপায় আছে…
মিলিটারি পদ্ধতি:
যেমন নাম তেমন কাজ। এই পদ্ধতির আবিস্কার করেছেন মার্কিন নেভির প্রি-ফ্লাইট স্কুলের বিশেষজ্ঞরা। মূলত সেই কারণেই এমন নাম। উড়োজাহাজ বা জেটবিমান চালানোর আগে পাইলটদের ঘুম ভাল হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এজন্য তাদের ঘুমের ট্রেনিং দেওয়া হয়। শোয়ার পর প্রথমে মনযোগ দিতে হবে নিজের মুখের মাংসপেশীর ওপর। কোনওটা টানটান বা চেপে আছে কি না, সেটা অনুভব করতে হবে। তারপর ধীরে সুস্থে পেশী শিথিল করতে হবে। মুখ, চোয়াল ও গলার পেশীও একেবার শিথিল করে নিন। গোটা শরীরটাই যেন বিছানায় আলগা পড়ে থাকে। যেন মনে হয় আপনার শরীরের ওপর আপনার আর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এবার কল্পনায় কোনও একটি মনোরম দৃশ্যের কথা ভাবুন। দেখা গিয়েছে, যারা এটা নিয়মিত চর্চা করে তাঁরা ১২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘুমিয়ে যেতে পারে।
৪-৭-৮ পদ্ধতি:
শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাদের নেই, তাঁরা এটা মেনে চলতে পারেন। এতে ঘুম আসার পাশাপাশি আপনার ফুসফুসও ভাল থাকবে দীর্ঘদিন। এটা একটা ব্রিদিং এক্সারসাইজের রুটিনের মধ্যে পড়ে। আরাম করে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার ভিতরের সমস্ত বাতাস ধীরে ধীরে বের করে দিন। এরপর মুখ দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন। ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত সেই শ্বাস ধরে রাখুন। শেষে মুখ দিয়ে ৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। প্রথম দিকে মনে মনে ১,২,৩… গুণে গুণে করুন। তারপর অভ্যাস হয়ে যাবে। এটি মনকে শান্ত রাখে। শরীর অনেকটা রিল্যাক্সড হয়। শরীর-মনের আরাম হওয়ায় ঘুমও তাড়াতাড়ি আসে।
পিএমআর মেথড:
পুরো নাম প্রোগ্রেসিভ মাসল রিল্যাক্সেশন। এই পদ্ধতিতে শরীরের কোনও একটি পেশীকে প্রথমে টান টান করা হয়। এরপর সেটাকে হঠাৎ করে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। চোখের ক্ষেত্রেও এমনটা করা যেতে পারে। চোখ বড় বড় করে কোনও কিছু দেখুন। দেখবেন কপাল ও ভুরুতেও চাপ পড়ছে। ৫ সেকেন্ড পর চোখ হঠাৎ করে বন্ধ করে দিন। এবার মুখ চওড়া করে হাসার ভঙ্গিতে খুলুন। ৫ সেকেন্ড পর মুখ হঠাৎ বন্ধ করে দিন। এতেও শরীর ও মন রিল্যাক্সড হবে। ঘুম আসবে।
আরও পড়ুন: ক্যান্সার প্রতিরোধে কি ব্রাজিলীয় বাদামের কোনও ভূমিকা রয়েছে? জেনে নিন
আরও পড়ুন: নুন ছাড়া খাবার খান? জেনে নিন শরীরে কতটা প্রয়োজন রয়েছে সোডিয়ামের