ওজন কমাতে চাইলে বেশ কিছু নিয়ম আমাদের মেনে চলতেই হবে। আর তার মধ্যে প্রথম হল খাওয়া দাওয়ায় পরিবর্তন। সেই সঙ্গে সময়ে খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা এসব তো আছেই। তবে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই দিন শুরু করার পরামর্শ দেন ডিটক্স ওয়াটারের সঙ্গে। যদি কোনও ডিটক্স ড্রিংক বানানোর মত সময় হতে না থাকে তাহলে দু গ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান। এই জলও কিন্তু কাজ করবে ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে।
ফ্যাট গলাতে অনেকেরই ভরসা গরমজল আর মধু। প্রচুর তারকাও মেনে চলেন এই টোটকা। লেবু-মধু কিংবা গরম জলে লেবু খাওয়ার চল কিন্তু আজকের নয়। আজ থেকে ২৫ বছর আগেও অনেকে নিয়মিত এই ডিটক্স ওয়াটার খেতেন। পরবর্তীতে অবশ্যই এই লেবুর জল নিয়ে অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করেছেন। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে। এছাড়াও লেবু ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
কেন খাবেন লেবুর জল
আর তাই প্রতিদিন লেবুর জল খেতে পারলে কিন্তু অনেক উপকার পাবেন। পেট পরিষ্কার থাকবে, সেই সঙ্গে বদহজমের সমস্যাও দূর হবে। এই শীতে প্রতিদিন লেবু-মধুর জল খেতে পারলে ভাল। এতে বজায় থাকবে শরীরের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা। এমনকী প্রাচীন আর্য়ুবেদ শাস্ত্রেও উল্লেখ রয়েছে এই টোটকার। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য়া রয়েছে তাঁরা এই জল নিয়ম করে খেলে আরাম পাবেন। এছাড়াও সকালে এই গরম জলে লেবু দিয়ে খেলে প্রস্রাবেও কোনও রকম অসুবিধে থাকে না।
মেথি জিরের জল
গত এক বছরে ওজন কমানোর মেথি-জিরের জল ভীষণ ভাবে আলোচিত সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর কারণ কিন্তু সেলেব্রিটিরা। প্রচুর সেলেব তাঁদের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ওজন বশে রাখতে তাঁরা নিয়মিত মেথি-জিরের জল খান। মালাইকা অরোরা যেমন জানিয়েছিলেন, নিয়ম করে তিনি প্রতিদিন এই মেথি-জিরের জল খান। রোজ রাতে এক চামচ মেথি আর এক চামচ জিরে তিনি ভিজিয়ে রাখেন এক গ্লাস জলে। পরদিন সকালে উঠে আগে সেই জল খান। এতে তাঁর ওজন যেমন থাকে নিয়ন্ত্রণে তেমনই ডায়াবিটিসও থাকে সীমার মধ্যে। তবে এর পাশাপাশি শরীরচর্চাও করেন মালাইকা।
তবে জিরের জল কিন্তু সারামাস খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষত গরমের সময় এড়িয়ে চলুন জিরের জল। এতে পেট গরম হওয়ার ম্ভাবনা থেকে যায়। শীতকালে নির্ভয়ে খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
গরম জলে লেবু কিংবা মেথি-জিরের জল দুটোই কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী। এতে যেমন ওজন কমে তেমনই ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের জন্য ভাল। তবে গরম জলে পাতিলেবুর রস দিলে ভিটামিন সি এর গুণ নষ্ট হয়ে যায়। আর তাই ঠান্ডা জলেই লেবু দিয়ে খান। এতে কিন্তু উপকার অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: Syphilis: ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে সিফিলিস, লকডাউন পরবর্তী সময়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা! বলছে গবেষণা