AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Crash Diet: ৫ দিনে ৫ কেজি ওজন কমাতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করে ফেলছেন না তো!

মাত্র ৫ দিনের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ কেজি কমাতে অনেকেই ক্রাশ ডায়েটের স্বাস্থ্য নেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই ডায়েট সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। কখনও ক্রাশ ডায়েটে শুধু লিক্যুইড প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, আবার কখনও লো-ফ্যাট খাবার খেতে বলা হয়। আর ক্যালোরি থাকেই না। এগুলো পরবর্তী সময়ে একাধিক শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে।

Crash Diet: ৫ দিনে ৫ কেজি ওজন কমাতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করে ফেলছেন না তো!
| Updated on: May 13, 2024 | 1:05 PM
Share

দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে ডায়েট ও শরীরচর্চা সমানতালে করতে হয়। এছাড়া কোনও উপায় নেই বললেই চলে। তবে, ডায়েটের ক্ষেত্রে একটু সচেতন হতে হয়। কেউ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন, আবার কেউ বেছে নেন লিক্যুইড ডায়েটকে। আবার অনেকে মনে করেন, কার্ব‌স বাদ দিয়ে কিটো ডায়েট করলে দ্রুত ওজন কমবে। আবার ঝড়ের গতিতে মেদ ঝরানোর জন্য ক্রাশ ডায়েটের উপর জোর দেন। এই সব ডায়েটের নিজস্ব কিছু উপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। তবে, ক্রাশ ডায়েট করলে আপনার শুধু ক্ষতি হতেই বাধ্য। এমনকি পুষ্টিবিদেরাও ক্রাশ ডায়েট করার পরামর্শ দেন না।

মাত্র ৫ দিনের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ কেজি কমাতে অনেকেই ক্রাশ ডায়েটের স্বাস্থ্য নেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই ডায়েট সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। কখনও ক্রাশ ডায়েটে শুধু লিক্যুইড প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, আবার কখনও লো-ফ্যাট খাবার খেতে বলা হয়। আর ক্যালোরি থাকেই না। এগুলো পরবর্তী সময়ে একাধিক শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে। দীর্ঘদিন ধরে ক্রাশ ডায়েট করার ফলে শরীরের উপর কী-কী প্রভাব পড়তে পারে, জেনে নিন।

১) ক্রাশ ডায়েটে খুবই কম ক্যালোরি প্রবেশ করে শরীরে। কিন্তু কাজ করার এনার্জি পাওয়ার জন্য এবং পুষ্টি শোষণের জন্য ক্যালোরি জরুরি। সেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালোরিও পাওয়া যায় না। এর জেরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

২) ক্রাশ ডায়েট মেনে খাবার খেলে শরীরে পুষ্টির অভাব তৈরি হয়। দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না। এর জেরে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় এবং চুল পড়া, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়। ঘন ঘন সংক্রমণে আক্রান্ত হন।

৩) দেহে এনার্জির অভাব, পুষ্টির ঘাটতি শারীরিক দুর্বলতা বাড়িয়ে তোলে। ক্রাশ ডায়েট করার ফলে পেশির কার্যকারিতা কমে যায়। এতে ওজন কমলেও শরীর টোনড হয় না। রুগ্ন দেখায়। নিস্তেজ হয়ে পড়ে শরীর।

৪) শারীরিক দুর্বলতার পাশাপাশি মানসিকভাবেও ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। পুষ্টির অভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় বাধা তৈরি হয়। এতে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি কমে যায়। এমনকি মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, হতাশা বেড়ে যায়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

৫) ক্রাশ ডায়েট মেনে এক সপ্তাহে অনেকটা ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু ক্রাশ ডায়েট মেনে খাবার খাওয়ার ফলে আপনার মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। তাই যখনই আপনি ক্রাশ ডায়েট বন্ধ করেন, আবার হু হু করে ওজন বেড়ে যায়। তাই এই ডায়েট থেকে দূরে থাকাই ভাল।