Abdominal pain: মাঝেমধ্যেই পেটব্যথা হলে সতর্ক হতে হবে, ৩ জটিল রোগের উপসর্গ হতে পারে যন্ত্রণা
Health Tips: পেটের ডান দিকে ব্যথা হতে পারে অ্যাপেনডিক্সের লক্ষণ। অ্যাপেনডিক্স হলে যদিও তীব্র ব্যথা হয়। অপারেশন ছাড়া সেই মুহূর্তে আর কোনও উপায় থাকে না
পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা এসব তো লেগেই থাকে। পড়তে ইচ্ছে না করলে কিংবা খেতে ইচ্ছে না করলে বাচ্চারা দুষ্টুমি করে বলে পেটব্যথা। ছোটবেলার সেই অভ্যাস রয়ে যায় বড় বয়সেও। আর তাই পরিস্থিতির সামাল দিতে অনেকেই পেটব্যথার দোহাই দেন। আসলে পেটব্যথা লেগেই থাকে। হজমের সমস্যা থেকে হয়। বেশি ঝাল খাবার খেলে সেখান থেকে সমস্যা হয়। অ্যাসিডিটি, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও পেট ব্যথা হয়ে থাকে। আমাশয়ে পেট ব্যথা হয়, পিরিয়ডসের সমস্যা থেকেও পেট ব্যথা হয়। যে কারণে এই ব্যথাকে মোটেই গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় না। আজকাল সকলেই যা ব্যস্ত তাতে চিনচিনে পেটের ব্যথা হলে তা এড়িয়েই যান। দিনের পর দিন পেট ব্যথাকে অবহেলা করলে সেখান থেকে পরিস্থিতি জটিলতার দিকে এগোয়।
পেটের ব্যথার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। কখনও পেটের উপরের দিকে ব্যথা করে। কখনও ঠিক নাভির নীচে ব্যথা করে আবার ডান দিকেও পেট ব্যথা হয়। এই ডান দিকে পেট ব্যথার অন্যতম কারণ হল অম্বল। অনিয়ম করলে, সময়ে খাবার না খেলে এবং অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলেই এই সমস্যা বেশি হয়। এছাড়াও অম্বল হলে বুকে জ্বালা, অস্বস্তি, পেটে জ্বালা ভাব এসবও লেগেই থাকে।
এছাড়াও পেট ব্যথার অন্যতম কারণ হল ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া, বাইরের খাবার বেশি খেলে, জল একদম কম খেলে এবং নিয়মিত ভাবে অ্যালকোহল পান করলে ফ্যাটি লিভার হবেই। সেই সঙ্গে অধিকাংশের কোনও রকম শরীরচর্চার অভ্যাস থাকে না। যে কারণে লিভারের পরতে পরতে ফ্যাট জমে যায়।
ক্রমাগত পেটে ব্যথা, মলত্যাগে সমস্যা হলে, পেটে জ্বালা করলে তা হতে পারে আলসারের লক্ষণ। খাবারের মধ্যে গ্যাপ পড়লে যদি পেট জ্বালা করে, খাবার খেলে যদি পেটে জ্বালা করে তাহলে সাবধান। হতে পারে আলসার। আলসার দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে পেচে ক্ষত তৈরি করে। পরবর্তীতে সেগুলোই হয়ে দাঁড়ায় অন্ত্রের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তাই একমাসের বেশি একই রকম ব্যথা থাকলে অবহেলা করবেন না।
পেটের ডান দিকে ব্যথা হতে পারে অ্যাপেনডিক্সের লক্ষণ। অ্যাপেনডিক্স হলে যদিও তীব্র ব্যথা হয়। অপারেশন ছাড়া সেই মুহূর্তে আর কোনও উপায় থাকে না। তবে বেশ কিছুদিন ধরে ডানদিকে ব্যথা হলে তা না এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। যত দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথার নিষ্পত্তি হয় ততই ভাল।