Periods Health: পিরিয়ডসের সময় সাদা স্রাব নিঃস্বরণ কীসের লক্ষণ? কতটা চিন্তায় থাকা দরকার?
Periods Health: সাদা স্রাব মূলত যোনির মৃত কোষ, ব্যাকটেরিয়া, এবং জরায়ুর গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তরল পদার্থের মিশ্রণ। পিরিয়ডসের বিভিন্ন সময় স্রাবের রং ও ঘনত্বে ভিন্নতা দেখা যায়।

পিরিয়ডসের সময় স্বাস্থ্য নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে রয়েছে অনেক ট্যাবু। সমস্যা হলেও তা নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন। যার ফলে বাড়ে সমস্যা। তেমনই একটি বিষয় হল সাদা স্রাব। অনেক সময় মহিলারা লক্ষ করেন সাদা স্রাব নির্গত হচ্ছে। কিন্তু এটা ভাল না খারাপ? সাদা স্রাব নিয়ে কি চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে?
সাদা স্রাব কী?
সাদা স্রাব হল মহিলাদের যৌনাঙ্গ থেকে নির্গত একটি স্বাভাবিক তরল, যা সাধারণত দুধের মতো সাদা বা কিছুটা পরিষ্কার রঙের হয়। এটি মূলত জরায়ু, যোনিপথ ও সার্ভিক্স থেকে নিঃসৃত হয়ে থাকে। যা প্রাকৃতিকভাবে যোনি আর্দ্র, পরিষ্কার এবং সংক্রমণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
কেন স্রাবের রং সাদা হয়?
সাদা স্রাব মূলত যোনির মৃত কোষ, ব্যাকটেরিয়া, এবং জরায়ুর গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তরল পদার্থের মিশ্রণ। পিরিয়ডসের বিভিন্ন সময় স্রাবের রং ও ঘনত্বে ভিন্নতা দেখা যায়। ডিম্বাণু নিষ্করণের সময় স্রাব কিছুটা ঘন ও সাদা হতে পারে। মনে রাখবেন এই সময় সাদা স্রাব হওয়া একেবারে স্বাভাবিক।
এতে কি ভয়ের কোনও কারণ আছে?
সাদা স্রাব নিয়ে সাধারণত ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু বিষয়ে নজর রাখাটাও জরুরি। কিছু উপসর্গ দেখলে সাবধান হতে হয়। যেমন – দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, চুলকানি বা জ্বালাভাব, স্রাবের রং ঘন হলুদ, সবুজ বা বাদামি হলে, পেটের নিচে ব্যথা বা অনিয়মিত পিরিয়ডস হলে সতর্ক হয়ে চিকিৎসককে দেখিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে তা সংক্রমণ, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য গাইনোকলজিকাল সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
কী করা উচিত?
১। প্রতিদিন যোনি পরিষ্কার রাখা, পরিষ্কার অন্তর্বাস পরা ও ভেজা অন্তর্বাস দীর্ঘক্ষণ না রাখা জরুরি।
২। পর্যাপ্ত জল পান করলে দেহ থেকে টক্সিন বের হয়, যা স্রাবের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩। যোনিতে সাবান, সুগন্ধি বা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার না করাই ভাল।
৪। উপসর্গ থাকলে দেরি না করে গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫। সাদা স্রাব অনেক সময় স্বাভাবিক হলেও, অতিরিক্ত নিঃস্বরণ হলে বা অন্য কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
