বর্তমান পরিস্থিতিতে কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া নিজেকে সুরক্ষিত রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গের কঠিন পরিস্থিতিকে সামলে উঠলেও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই কিন্তু থেমে থাকেনি। বরং করোনা অতিমারির মধ্যেই ভাইরাসের নানা রূপ আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। ডেল্টা প্লাসের দাপটে এখন সারা বিশ্ব তটস্থ। তবে এই কঠিন অবস্থায় একজন ব্যক্তি টিকা নেওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমননি এই টিকা নেওয়ার সময় ওই ব্যক্তি আদৌও করোনা পজিটিভ কিনা এও জানেন না। পরিসংখ্যান বলছে, কোভিড টিকা নেওয়ার সময় অনেকেই জানতেন না তাঁরা সংক্রামিত ছিলেন। আর সেই সংখ্যাটি নেহাত কম নয়। কেবলমাত্র কোভিড-উপযুক্ত আচরণ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি জানা দরকার, টিকা নেওয়ার সময় আপনি আদৌও কোভিড পজিটিভ কিনা। সেই পরীক্ষার ফলের পরই টিকা গ্রহণ করা উচতি বলে মনে রে চিকিত্সকের একাংশ।
বর্তমানে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তা হল, কোভিড পজিটিভ হলে টিকা নেওয়ার জন্য বেরিয়ে আসবেন না। পরিবর্তে কোয়ারানটিন সম্পূর্ণ করার পরই টিকা নিতে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে যান। যদি একজন করোনাআক্রান্ত জমায়েতের মধ্যে এলে অন্যদের মধ্যে আরও দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই টিকা নেওয়ার সময় বিশেষ করে জনে নেওয়া উচিত, ওই ব্যক্তি সত্যিই করোনা আক্রান্ত কিনা।
কিছু গবেষণার মতে, যখন কেউ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তখন কোভিড ভ্যাকসিন নিলে কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে না এবং ভ্যাকসিনগুলির কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। যদিও এটি এখনও আরও গবেষণা সাপেক্ষে, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে টিকাগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে কাজ করে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। ভাইরাসটি যেহেতু ব্যাপক সংক্রমণের বিস্তার ঘটায় তাই করোনা পজিটিভ ব্যক্তির উপস্থিতি, উপসর্গ-সহ বা উপসর্গহীন যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, টিকা কেন্দ্রে উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মী সহ অন্যান্যদের কাছে ভয়ংকর হতে পারে। করোনা পজিটিভ হলে করোনার প্রতিটি বিধি-নিয়ম পালন করার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজন হলে বাড়িতে থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে তারপর কোভিড টিকা নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: উপবাস করলে মেদ কম! ড্রাই ফাস্টিং শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বের, জানুন