Egg For Health: ভেগানদের তালিকায় নাম লেখাতে পাত থেকে বাদ পড়েছে ডিম? জানুন কী বিপদ অপেক্ষা করছে
Eggs: ডিমে ভরপুর প্রোটিন রয়েছে। দীর্ঘদিন ডিম না খেলে খুব স্বাভাবিকভাবেই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এই ঘাটতি আপনি পরিবর্ত প্রোটিন দিয়েও মেটাতে পারেন।

সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত হয় ডিম। সুস্থ থাকতে তাই ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেন তাঁরা দিনে ৪-৫ টা ডিম পর্যন্ত এক সঙ্গে খান। ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১২, বায়োটিন, থায়ামিন, ও সেলেনিয়াম। এছাড়া আরও রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম। আসুন সবার আগে জেনে নেওয়া যাক ডিম আমাদের শরীরের কী উপকার করে…
হৃদরোগের ঝুঁকি কমে: ডিম হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখে। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে বলেই দাবী করে একাধিক গবেষণা।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: ডিমে রয়েছে লুটেইন ও জেক্সানাথিন। এসব অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
প্রোটিনের ঘাটতি মেটায়: ডিমে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। যা শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: যদি শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ বজায় থাকে তবে ওজন বাড়ে না। তাই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা রোজ একটি করে ডিম খান তাঁদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মাছের মতোই ডিমের প্রতি বাঙালির ভালবাসা অটুট। ডিমের ঝোল, ঝাল, সেদ্ধ সবই আনন্দের সঙ্গে খান তাঁরা। তবে আজকাল অনেকেই নিরামিষভোজী হওয়ার তালিকায় নাম লেখাচ্ছেন। ফলে পাত থেকে বাদ পড়ছে ডিমও। কয়েকদিন ঠিক আছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ডিম না খেলে ক্ষতি হতে পারে শরীরের। হ্যাঁ, এমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা। আসুন জেনে নেওয়া যাক টানা এক মাস ডিম না খেলে কী ক্ষতি হতে পারে শরীরের…
প্রোটিনের ঘাটতি: ডিমে ভরপুর প্রোটিন রয়েছে। দীর্ঘদিন ডিম না খেলে খুব স্বাভাবিকভাবেই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এই ঘাটতি আপনি পরিবর্ত প্রোটিন দিয়েও মেটাতে পারেন। তবে সেটা আলোচনার বিষয় নয় ডিম থেকে প্রাপ্ত প্রোটিনের অভাবে ধীরে-ধীরে বিকল হয়ে যেতে পারে শরীর।
কোলেস্টেরলের মাত্রার তারতম্য: ডিম শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ধরে রাখে। দীর্ঘদিন ডিম না খেলেই ওঠা নামা করতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা।
পেশীর শক্তি ক্ষয়: ডিমে উপস্থিত ভিটামিন পেশীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। অনেকদিন ডিম না খেলে পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে।
যদি আপনি একান্তই ডিম না খান তবে এর পরিবর্তে এমন কিছু খেতেই হবে যা এর ঘাটতি পূরণ করবে। এক্ষেত্রে ডায়েটে যোগ করুন মাছ, শাকসবজি, ফল, পনির, তফু ও দুগ্ধজাত খাবার-দাবার।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
