‘‘সখী, ভালোবাসা কারে কয়! সে কি কেবলই যাতনাময়।
সে কি কেবলই চোখের জল? সে কি কেবলই দুখের শ্বাস?”
লোকে তো বলবেই। তাঁদের সেটাই কাজ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বিখ্যাত দুটি লাইনের সঠিক উত্তর এখনও খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু ভালবাসার মানুষটিকের মুখে হাসি ফোটাতে মানুষ কতদূর যেতে পারে তার নমুনা বহুবার পাওয়া গিয়েছে। ভালবাসা হল ভালবেসে ভালবাসা বেঁধে রাখা। এটি এমন একটি জিনিস যা স্পর্শ করা যায় না, মন-প্রাণ দিয়ে শুধু হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ভালবাসলে মানুষের মন যেমন ভাল থাকে, তেমনি সুস্থ থাকার অন্যতম মোক্ষম দাওয়াইও বটে।
১. মস্তিষ্কে ডোপামাইন উত্পাদিত হয়
কাছের প্রিয় মানুষের কথা যখন গভীরভাবে ভাবেন, বিভোর হয়ে যান, তখন আপনার শরীরে ডোপামাইন নামক একপ্রকার হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে, যা আপনার মনকে একেবারে খুশিতে ডগমগ করে তোলে। ভাল ও পছন্দের কোনও গান শুনলে, ভাল ভাল খাবার দেখলে ও খেলেও মন খুশি হয়। তখনই ওই হরমোন নির্গত হয়।
আরও পড়ুন- হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে কাদের, বলে দেবে ব্লাড গ্রুপই! দাবি গবেষকদের
২. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে
সমীক্ষা বলেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন মার্কিনরা। কিন্তু সেখানেই একে অপরকে খুব তাড়াতাড়ি খুঁজে নেওয়ার রীতি রয়েছে। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও ওষুধের দরকার পড়বে না। প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে কোনও বারণ শুনবেন না। স্ট্রেস, উদ্বেগের মধ্যে কাজ করার ফাঁকে প্রিয়জনের সঙ্গে পাঁচ মিনিট ভালবেসে কথা বলুন, রিফ্রেশ হয়ে উঠবেন চটপট। দুরত্ব বাড়তে শুরু করলে রেস্তোরাঁয়ে একসঙ্গে ডিনার সারুন। করোনাকালে বাড়িতে বসে একসঙ্গে কাটাবার মতো দুরন্ত সময় আর মিলবে না।
৩. মাথাব্যথার উপশম দূর হবে চটপট
যদি কখনও একটানা বাড়িতে একা সময় কাটান। তাহলে মাথায় একধরণের ব্যথা অনুভব করতে পারবেন। আর সেই ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। পার্টনার যদি কাছে না থাকে তাহলে তাঁর কোনও ছবি ঘরের রেখে দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন। একসঙ্গে সময় কাটালে মাথাব্যথার অনুভূতি দূর হয়ে যাবে।
৪. শারীরিক দিক থেকেও উন্নতি ঘটবে
নিজের কাছেই যখন প্রিয় ছিলেন, তখন নিজের মতো করে বাঁচতেন। জীবনে এক মনের মানুষের উদয় হতেই তাঁকে আকৃষ্ট করার জন্য অনেকেই যোগা-ডায়েট করতে শুরু করেন। কিন্তু এও কি জানেন, প্রেমে পড়লে মানুষ আগের থেকে অনেক ফিট থাকেন। হার্ট ভাল থাকে, ইমিউনিটি বৃদ্ধি হয়, ওজন কমে যায়, আয়ু বৃদ্ধি হয়। সুস্থ জীবন পেতে ভালবাসার মানুষকে বেছে নিতে দেরি করবেন না।
আরও পড়ুন- শ্বাসকষ্ট, কিডনির সমস্যা থেকে ডায়াবেটিস, সব নিয়ন্ত্রণ হবে আম পাতার গুণে!
৫. হাড়ের ক্ষয় কম ও পেটের সমস্যা দূর হয়
একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে. যাঁরা যাঁরা রিলেশনশিপে ছিলেন, তাঁদের হাড়ের শক্তি অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে, ভালবাসা বা প্রেম সবই একটি প্রাকৃতিক যোগ। যার কারণে উভয়েই উভয়ের দেখভাল করতে পারেন। এই সময় সুস্থ থাকার অধিক প্রবণতা দেখা যায়। শরীরের মধ্যে একটি পজিটিভ এনার্জি এসে পড়ে। যা মানুষকে সুন্দর ও সুস্থ করে তোলে। অন্যদিকে, পেটের নানা উপশমও দূর হয়ে যায়। ভালবাসা এমন সুন্দর অনুভূতি যে শরীর থেকে এই সময় কোর্টিসোল নাম হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি মেলে।
৬. একাকী জীবন
যদি আপনি রিলেশনশিপের মধ্যে না থাকেন, তাহলে অনিদ্রা, বডি ফ্যাটিগ, পুষ্টির অভাব প্রকাশ পায়। ইমিউন সিস্টেমেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিজের প্রতি খেয়াল না রাখার কারণে ভয়ংকর অসুস্থতার শিকার হতে পারেন।