AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মাঙ্কিপক্স কী? এই বিরল রোগে আক্রান্তদের নিয়ে উদ্বেগ শুরু বিশেষজ্ঞমহলে

Monkeypox Disease, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঠিক পাঁচদিনের মাথায় শরীরের লাল ফুসকুড়ি বা র‍্যাসেস বের হয়, পরে সেগুলি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ছোট পক্সের মতো দেখতে লাগে সেগুলি। 

মাঙ্কিপক্স কী? এই বিরল রোগে আক্রান্তদের নিয়ে উদ্বেগ শুরু বিশেষজ্ঞমহলে
এই বিরল রোগে আক্রান্তদের নিয়ে উদ্বেগ শুরু বিশেষজ্ঞমহলে
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2021 | 10:40 PM
Share

করোনায় বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে নানারকম ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ভারতে। এখনও পর্যন্ত মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ভারতেই নয়, ব্রিটেন ও নর্দান আয়ারল্যান্ডে নয়া ও মারাত্মক ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়েছে। ভাইরাসের নাম মাঙ্কিপক্স (Monkeypox)। এখনও পর্যন্ত মাত্র ২ জনের শরীরের পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাস। আপাতত হাসপাতালে তাঁরা চিকিত্সাধীন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য মতে, সাধারণত পশুদের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়। মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের লক্ষণ অত্যন্ত বিরল। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলি এই ভাইরাসের সঙ্গে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্ত পশুদের সংস্পর্শে এলে তবেই মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস থাবা বসাতে পারে।

মাঙ্কিপক্সের সাধারণ উপসর্গ

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, মাথাব্যাথা, পিঠে ব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যাথা, পেশীতে যন্ত্রণা, ক্লান্তিবোধ, দুর্বলতা, বমি-বমিভাবের মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়। সাধারণ ফ্লু যেমন শরীরকে কাবু করে, তেমনি এই ভাইরাসও শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। আর তাতেই মানুষ অসুস্থবোধ করতে শুরু করে। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, তা বুঝতে হলে কতকগুলি উপসর্গ দেখা যায়, সেগুলি হল, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঠিক পাঁচদিনের মাথায় শরীরের লাল ফুসকুড়ি বা র‍্যাসেস বের হয়, পরে সেগুলি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ছোট পক্সের মতো দেখতে লাগে সেগুলি।  যতদিন এগোয় সেগুলি বড় হয়ে ফোসকার মতোন আকার ধারণ করে। সাধারণত, ১২-১৫দিন ধরে এই বিরল রোগের আক্রান্তরা অসুস্থবোধ করেন।

আরও পড়ুন: স্যানিটাইজারের ক্ষতিকর ৭ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! সামলাবেন কীভাবে?

প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে প্রথম মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে পরিচয় হয় বিশ্ববাসীর। ২০০৩ সালে আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় এই সংক্রমণের দাপট শুরু হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, মাঙ্কিপক্সের জেরে মৃত্যুর হার বেশ কম। মাত্র ১১ শতাংশ। এছাড়া করোনাভাইরাসের মতো এটি অতটাও মারাত্মক নয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে হয়েছে নির্দিষ্ট ওষুধ ও ভ্যাকসিন। ফলে এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অকল্পনীয়।