শরীরের সামগ্রিক গঠনে ভিটামিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ভিটামিন ছাড়া আমাদের পুষ্টি সব সময় অসম্পুর্ণ থেকে যায়। তাই, প্রতিদিনই আমাদের কোনও না কোনও উপায়ে ভিটামিন গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। যদিও, আমরা সবাই এই ভিটামিন গ্রহণ করেই থাকি। তবে, আমাদের মধ্যে অনেকেই ঠিক এটা জানি না যে কোন খাবার থেকে কোন ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়।
হেলথলাইন থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে আজ আপনাদের সেই সম্বন্ধে সম্যক ধারণা দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে। আসুন, দেখে নেওয়া যাক, প্রতিদিনের কোন কোন খাবার থেকে আপনি কী কী ভিটামিন নিয়ে থাকেন…
ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার:
ছোট মাছ, দুধ, মাখন, কড লিভার ওয়েল, ঘি, মাংস, ডিম, গাজর, পালংশাক, বাধাকপি, ব্রকলি, লাল মরিচ, টমেটো, কুমড়া, লেটুস, আম, জাম্বুরা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি।
ভিটামিন-বি জাতীয় খাবার:
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন-বি রয়েছে যেগুলোকে একসঙ্গে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স বলে। ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন), ভিটামিন বি৩ (নিয়াসিন), ভিটামিন বি৫ (প্যান্টোথেনিক এসিড), ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সাইন, ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন), ভিটামিন বি৯ (ফলিক এসিড), ভিটামিন বি১২ (কোবালামিন)।
ওটস, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার, শিম ও মটরশুটি, মাশরুম, বাদাম ও বিভিন্ন প্রকারের বীজ, আস্ত শস্য, সবুজ শাক সবজি (পালং শাক), কলা, আভোক্যাডো, গুড়, মধু ইত্যাদি।
ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার:
লেবু, আমলকি, পেয়ারা, আনারস, জাম্বুরা, চালতা, জলপাই, তেতুল, সবুজ আপেল, কমলা, আঙ্গুর, জাম, আমড়া, কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা, পার্সেলে পাতা ইত্যাদি।
ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার:
তৈলাক্ত বা চর্বি যুক্ত বিভিন্ন মাছ। পোনা মাছ, স্যামন মাছ, পাঙ্গাস মাছ প্রভৃতি। মাশরুম, দুধ, কর্ডলিভার ওয়েল, চিজ, কমলা লেবু, ওটস ও বাদামী চাল, ডিমের কুসুম, দই, গম, রাগী, বার্লি, পনির ইত্যাদি।
ভিটামিন-ই জাতীয় খাবার:
চিনাবাদাম, আখরোট, বাদাম, উদ্দভিজ তেল, কুসুম, গম, সয়াবিন, সূর্যমুখী, সবুজ শাকসবজি (পালং শাক, বাধা কপি, ব্রকলি, কাঁচা শালগম), বিভিন্ন ধরনের মরিচ, মটর শুটি, লেবু, আভোকাডো, ডিম, স্যালমন মাছ, চর্বিবিহীন মাছ ইত্যাদি।
ভিটামিন-কে জাতীয় খাবার:
সবুজ রঙের শাকসবজি, লেটুস পাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডিমের কুসুম, ছাগলের যকৃত, সয়াবিন তেল, শালগম, বিট, মুলা, লাল মরিচ, পালংশাক, বেদানার রস, গাজরের রস, ব্লুবেরি, রসুনের পাতা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: Belly Fat Burn: পেটের জেদি মেদ ঝরাতে এবার ভরসা রাখুন আয়ুর্বেদে! ৫টি ঘরোয়া নিয়ম মানলেই হবে কেল্লাফতে