Belly Fat Burn: পেটের জেদি মেদ ঝরাতে এবার ভরসা রাখুন আয়ুর্বেদে! ৫টি ঘরোয়া নিয়ম মানলেই হবে কেল্লাফতে
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে লেব ও গরম জল খাওয়া থেকে শুরু করে ব্যায়াম-জিমে ভরতি হওয়া সব করেও মধ্যদেশের অতিরিক্ত চর্বি হঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
পেটের নাছোড় চর্বিকে নিয়েই যত ঝামেলা। শরীরের এই মাঝের অংশটি নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে লেব ও গরম জল খাওয়া থেকে শুরু করে ব্যায়াম-জিমে ভরতি হওয়া সব করেও মধ্যদেশের অতিরিক্ত চর্বি হঠানো সম্ভব হচ্ছে না। কোনও সুন্দর পোশাক পরতে গেলে দুবার ভাবা এখন আপনার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। পেটের চর্বি শুধুমাত্র ত্বকের নীচে অবস্থিত প্যাডিংয়ের অতিরিক্ত স্তরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এতে ভিসারাল ফ্যাটও রয়েছে। যা পেটের গভীরেও ছড়িয়ে পড়ে।
পেটের অতিরিক্ত চর্বি হঠাতে গেলে চাই কঠোর পরিশ্রম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেটের মেদ স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকিপূর্ণ আকার ধারণ করে। অনেকসময় শক্তি, অর্থ ইত্যাদি থেকেও শরীর জবাব দিতে পারে না। এ ব্যাপারে আয়ুর্বেদ চিকিত্সক ড. দীক্ষা ভাবসার পেটের মেদ কমিয়ে অন্যান্য রোগের প্রবণতাকে হ্রাস করার সহজ পদক্ষেপের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। বাড়িতেই সেই নিয়মগুলি মেনে চললে পেটের নাছোড় মেদ গায়েব হবেই হবে।
১. প্রতিদিন ১২বার সূর্যনমস্কার করুন- সূর্যনমস্কার হল হরমোনের ভারসাম্য, বিপাক এবং অন্ত্রস্বাস্থ্যের জন্য সেরা। মানসিক স্বাস্থ্য, ঘুমের উন্নতিতে সাহায্য করে। জেদি পেটেমেদ কমাতে এই পদ্ধতির কোনও বিকল্প নেই।
View this post on Instagram
২. হাজার বার কপালভাতি প্রাণায়াম করুন- রক্ত সঞ্চালন ও হজম ক্ষমতাকে উন্নত করতে, দ্রুত ডিটক্স করতে ও পেটের ফ্যাট বার্ন করার জন্য প্রতিদিন কপালভাতির অনুশীলন করা উচিত। পিরিয়ড নিয়মিত করতে, রক্তপ্রবাহকে স্বাভাবিক রাখতে এই শরীরচর্চা দারুণ কার্যকরী। যাঁদের পিসিওএস, ইনসুলিন ও থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই অনুশীলন আদর্শ।
৩. সার্কাডিয়ান ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং– সার্কাডিয়ান ডায়েটের অর্থ হল, সূর্যাস্তের পর খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া। উপবাস করা। সকাল থেকে শুরু করে ৮ ঘণ্টা ধরে খাওয়া ও সূর্যাস্তের আগে ও সূর্যাস্তের ১ ঘন্টার মধ্যে আপনি দিনের শেষ খাবার খেতে পারেন। রাত ৮টার আগে ডিনার সেরে ফেলা সব ডায়েটের জন্যই সর্বোত্তম।
৪. গরম জল পান করা- গরম জল শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করতে সাহায্য করে। শুধু বিপাকতন্ত্রকেই নয়, শরীরের সব জায়গার ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। এছাড়া ফুলে যাওয়া, গ্যাস হওয়া, খিদে না পাওয়া, সব সময় ভারী ভাব বোধ করা, তা দূর হয়ে যায়।
৫. পর্যাপ্ত ঘুম- যত ভাল ঘুমান, তত দ্রুত ওজন হ্রাস হবে। দিনে মোট ৭-৮ ঘণ্টার জন্য ভাল ঘুম লিভার ডিটক্স, হরমোনের ভারসাম্য , ওজন কমাতে ও স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে সাহায্য করে। শরীর ও মনকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া ও হজম ক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে।