Hiccups: হেঁচকির চোটে প্রাণ ওষ্ঠাগত? কেন হয়, কী ভাবে মিলবে মুক্তি?
Hiccups: বিজ্ঞান বলছে একবার হেঁচকি ওঠা শুরু হলে মিনিটে ৪ থেকে ৬০ বার অবধি এর প্রকোপ দেখা দিতে পারে। যা থাকতে পারে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত!

খেতে বসে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজের মধ্যে, কিংবা ঘুমোতে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে হেঁচকি উঠতে শুরু হওয়াটা খুব সাধারণ বিষয়। বিজ্ঞান বলছে একবাত হেঁচকি ওঠা শুরু হলে মিনিটে ৪ থেকে ৬০ বার অবধি এর প্রকোপ দেখা দিতে পারে। যা থাকতে পারে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত! তাছাড়া অল্প সময় থাকুক বা দীর্ঘক্ষণ, হেঁচকি ওঠাটা খুব যন্ত্রণাদায়ক একটা বিষয়।
লাগাতার হেঁচকি উঠলে দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে। কেন হেঁচকি ওঠে?
ডায়াফ্রামে অস্বস্তি হলেই মূলত হেঁচকি ওঠে আমাদের। ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা হলো একধরনের পেশীবহুল পর্দা যা বক্ষগহ্বরকে উদয়গহ্বর থেকে আলাদা করে। উল্টানো বাটির মতো দেখতে এই পর্দাটি আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ডায়াফ্রামের হঠাৎ সংকোচনের ফলেই হেঁচকি তৈরি হয়।
খুব বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া, অত্যন্ত দ্রুত খাওয়া, উত্তেজনা, ভয় বা উদ্বেগ, অতিরিক্ত মদ্যপান, মানসিক চাপ, ইসোফেগাসে অস্বস্তি বা হঠাৎ তাপমাত্রার বদল হেঁচকি ওঠার কারণ হতে পারে।
কী ভাবে পাবেন মুক্তি?
১। ১০-২০ সেকেন্ডের জন্য দম বন্ধ করে রাখলে সুফল মিলতে পারে।
২। হেঁচকি উঠলে দুই হাঁটু বুক পর্যন্ত টেনে ধরে সামনের দিকে ঝুঁকলে ডায়াফ্রামের ওপর চাপ পড়ে। এতে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩। ঠাণ্ডা জল দিয়ে কুলকুচি করলে বা একটু একটু করে বরফ ঠাণ্ডা জলে চুমুক দিলে ভ্যাগাস স্নায়ুর মধ্যে উদ্দীপনা (স্টিমুলেশন) সৃষ্টি সম্ভব। ভ্যাগাস স্নায়ুটির সংযোগ ডায়াফ্রামের সঙ্গে রয়েছে, ফলে এই স্নায়ু ডায়াফ্রামকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে।
৪। সাধারণত হঠাৎ করে হেঁচকি উঠতে শুরু করলে একবারে প্রায় এক গ্লাস জল খেয়ে নিতেও বলেন অনেকে। এতে উপকার পাওয়া যায়।
