AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Omicron: টিকাপ্রাপ্তদের ওমিক্রনের সংক্রমণ অনেকটাই কম কেন? যা বলছে ব্রাজিলের গবেষণা…

টিকার প্রকোপেই ওমিক্রনের রোগ সংক্রমণ হালকা। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন সেকারণেই তাঁদের মধ্যে তেমন রোগ জটিলতা দেখা যায়নি

Omicron: টিকাপ্রাপ্তদের ওমিক্রনের সংক্রমণ অনেকটাই কম কেন? যা বলছে ব্রাজিলের গবেষণা...
কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ভরসা ভ্যাকসিনেই
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2022 | 5:16 PM
Share

ওমিক্রনে ( Omicron) বিশ্বজুড়েই প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও রোগ জটিলতা বিশেষ তেমন ছুল না। সর্দি, কাশি, জ্বর-এই সব সমস্যাই ছিল মূলত। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা কিংবা শরীরে অক্সিজেনের ( Oxygen level) মাত্রা কমে যাওয়া এই সব কোনও সমস্যা ছিল না। এর পিছনে অবশ্য কোভিডের টিকার কথাই বার বার বলেছেন চিকিৎসকরা। ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে যাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছিল তাদের অধিকাংশেরই কিন্তু কোভিডের কোনও টিকা নেওয়া ছিল না। যে কারণে তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও নেমে গিয়েছিল। সম্প্রতি ব্রাজিলের গবেষকরা নতুন একটি তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। ওমিক্রনের পূর্ববর্তী রূপের মিউটেশনই ( Mutations) কিন্তু এর জন্য দায়ী। ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ সাও পাওলোতে এই গবেষণা চালানো হয়। সেখানেই দেখা গিয়েছে ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম দেখা যায় ২০২১ সালে। কিন্তু পরবর্তীতে ভাইরাস নিজেকে মিউটেশনের মাধ্যমে রূপ পরিবর্তন করেছেন। আর এই মিউটেশনের উপর নির্ভর করেই অধিকাংশ টিকাকরণ হয়েছে। যে কারণে কোভিডের ভাইরাস অর্থাৎ ওমিক্রন টিকাপ্রাপ্তদের তেমন কাবু করতে পারেনি। আর তাই ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও কিন্তু মৃত্যু অনেকটাই কম।

জার্নাল অফ মেডিক্যাল ভাইরোলজিতেও একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেও কারভালহো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল স্কুলের গবেষকরা। তাঁদের মতে, করোনাপ ভ্যাকসিন সব ভ্যারিয়েন্ট গুলির জন্যই সমান ভাবে কার্যকরী। ভবিষ্যতে অন্য কোনও ভ্যারিয়েন্ট আসলেও তার বিরুদ্ধে জোরদার কাজ করবে এই সব ভ্যাকসিন। গবেষকদের এই দলটি প্রায় ২ লক্ষ মানুষের জিনোম বিশ্লেষণ করে দেখেছে। আর সেখান থেকেই তাঁরা জানিয়েছেন SARS-CoV-2 ভাইরাসটি একাধিকবার মিউটেশনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্পাইক প্রোটিনের ৩৫ বার মিউটেশন হয়েছে। যে কারণে ভ্যাকসিন যে কোনও ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই কার্যকরী। এই গবেষকের দলটি ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, হংকং-সহ একাধিক জায়গায় গবেষণা চলায়। তখন ওমিক্রন আক্রান্ত ১৪৬ জনের জিনোম বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিটা, ডেল্টা, এবং ওমিক্রনের পুনঃসংযোগের প্রমাণ দেখা গিয়েছে।

পুনঃসংযোগ হল জেনেটিক উপাদানের পুনর্বিন্যাস, বিশেষ করে বিভিন্ন স্ট্রেন থেকে ডিএনএ অংশ মিলেমিশে তৈরি হয়। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও এই পুনর্মিলনের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়েছে। যে কারণে একবার কোভিডে আক্রান্ত হবার পরও থেকে যাচ্ছে একাধিকবার আক্রান্তের সম্ভাবনা।

আর তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল টিকাকরণ। কোভিডের টিকা সকলকে নিতেই হবে। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে যাবতীয় কোভিডবিধিও। তবেই কিন্তু সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাব আমরা। ওমিক্রনের অতিমারীর পরিসমাপ্তি এমন কোনও তত্যও আসেনি গবেষকদের হাতে। ফলে আমাদের এখনও সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড ভাইরাসটি বড়ই বিশ্বাসঘাতক- একে ভরসা করতে রাজি নয় কেউই।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Anxiety Disorder: অ্যাংসাইটির শিকার হচ্ছেন? বুঝবেন যে লক্ষণে…