কাশ্মীর: বছর শেষেও রক্তাক্ত উপত্যকা। শুক্রবারও এনকাউন্টার অভিযান চালিয়ে খতম করা হল এক জঙ্গিকে। জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদ্দিন গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার মোম্মান গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই জঙ্গিকে খতম করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই উপত্যকায় সংঘর্ষে জঙ্গি ও সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর যে ঘটনা ঘটেছে, তারপর থেকেই আরও সতর্ক হয়েছে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার ভোরে খবর মেলে অনন্তনাগে লুকিয়ে রয়েছে কিছু জঙ্গি। খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মোম্মান গ্রামে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।
গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করতেই নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। এরপরই শুরু হয় গুলির লড়াই। এনকাউন্টার অভিযান চলার মাঝেই গ্রামবাসীদেরও পুলিশি নিরাপত্তায় সুরক্ষিত স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক গুলির লড়াই চলার পর এক জঙ্গির মৃত্যু হয়, পালিয়ে যায় বাকি জঙ্গিরা। সংঘর্ষস্থল থেকে যুদ্ধের মতো বিপুল অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই জঙ্গির নাম শাহজাদ আহমাদ শাহ। তিনি কুলগামের সাহাপুরের বাসিন্দা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শাহজাদ হিজবুল মুজাহিদ্দিনে নাম লিখিয়েছিল। উপত্যকাতেই তাঁকে যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কীভাবে জঙ্গি সংগছনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হল এবং জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বর্তমান ও আগামিদিনের পরিকল্পনা কী, সেই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, এনকাউন্টার অভিযান চলাকালীন যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে যাতে সাধারণ নাগরিক বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগেও পুলওয়ামায় এনকাউন্টার অভিযানে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। জানা গিয়েছিল, এক মাস আগেই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছিল ওই কাশ্মীরী যুবক। সেনা সূত্রের দাবি, যুব সম্প্রদায়কে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়েই জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখাতে বাধ্য করা হচ্ছে। কীভাবে তাদের জঙ্গিদের টোপ থেকে রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Assembly Election Schedule: এখনও বাকি রয়েছে কাজ, নতুন বছরেই ঘোষণা হবে ৫ রাজ্যের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট