Assembly Election Schedule: এখনও বাকি রয়েছে কাজ, নতুন বছরেই ঘোষণা হবে ৫ রাজ্যের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট
Assembly Election Schedule: শুক্রবারই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানান, আগামী সপ্তাহে তিনদিনের উত্তর প্রদেশ সফরে যাচ্ছে কমিশন। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নয়া দিল্লি: হাতে আর বেশি সময় নেই, আগামী বছরই পাঁচ রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2022)। তবে এখনও নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি নির্বাচন কমিশন(Election Commission of India)-র তরফে। সেই কারণে প্রস্তুতিও শুরু করা যায়নি সেরকমভাবে। শুক্রবার কমিশন সূত্রে জানা গেল, চলতি বছরে আর ঘোষণা করা হবে না নির্বাচনী নির্ঘণ্ট। একেবারে নতুন বছরের শুরুতেই জানানো হবে, কবে কোন রাজ্য়ে নির্বাচন হতে চলেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন বছরে খুব বেশি দেরী নয়, ৫ জানুয়ারির মধ্যেই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। এখনও নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হওয়ার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী প্রস্তুতি সংক্রান্ত অনেক কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সেই কারণেই দিন ঘোষণা করতে সময় লাগছে। আগামী সপ্তাহেই উত্তর প্রদেশে যাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের। এরপর তারা ফের মণিপুর যাবেন। এরপরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।
গত সপ্তাহেই কমিশনের প্রতিনিধিরা পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও গোয়া পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিন রাজ্যের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে রিপোর্টও। আগামী সপ্তাহে উত্তর প্রদেশ ও মণিপুর সফরের পর ওই দুই রাজ্যেরও প্রস্তুতির রিপোর্ট বানাতে হবে কমিশনকে। এছাড়া নির্বাচনমুখী পাঁচ রাজ্যকেই ১ জানুয়ারির মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা:
ওমিক্রন সংক্রমণ ঘিরে দেশজুড়ে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, সেই কারণেই নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবারই দেশের করোনা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকেই তিনি দেশবাসীদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন। এরপরই এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের কাছে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন কমপক্ষে এক বা দু’মাস পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। জন সমাগম এড়াতে নির্বাচনী প্রচারগুলি যাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেই অনুরোধও জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। এদিকে, আজ থেকেই উত্তর প্রদেশ জুড়ে ফের চালু হচ্ছে নৈশ কার্ফু। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা অবধি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত একের পর এক ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলেও, রাজ্য় সরকারগুলির তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রাীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে। শুক্রবারই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানান, আগামী সপ্তাহে তিনদিনের উত্তর প্রদেশ সফরে যাচ্ছে কমিশন। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে ৬ থেকে ৮ দফায় নির্বাচন হতে পারে। গোয়া ও মণিপুরে এক দফাতেই নির্বাচন হবে। উত্তরাখণ্ড ও পঞ্জাবেও এক দফাতেই নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা রয়েছে আপাতত।