Covid-এ মৃত্যু আরও ১ জনের! হাল্কাভাবে নিলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক-স্ট্রোক…
Covid in India: ভারতে ফের বাড়ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হল আরও একজনের। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও বাড়ল। নয়া স্ট্রেনে গুরুতর অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে না। তবে একে হাল্কাভাবে নিলে, ভুগতে হতে পারে ভবিষ্যতে, সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা।
নয়া দিল্লি: গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত আরও ১ জনের মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৬ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। কেরলে মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের, কর্নাটকে দুজন এবং পঞ্জাবে আরও একজনের। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তিনিও কেরলের বাসিন্দা ছিলেন। এই সময়ে কোভিড আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩২৮ জন। এর মধ্যে কেরল থেকেই ২৬৫ জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ভারতে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯৯৭-এ।
তবে, এখনই এই নিয়ে আতঙ্ক বা উদ্বেগের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। কারণ, যাদের মৃত্যু হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই শুধু কোভিড আক্রান্ত ছিলেন না। সঙ্গে কো-মর্বিডিটি বা সহ-অসুস্থতাও ছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, যাদের বর্তমানে যারা কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের দেহে খুব হালকা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ বাড়িতে নিভৃতবাসে থেকেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এখনই কোনও ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারির পরিকল্পনা নেই বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্টও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। তবে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। কোভিডের হুমকি আরও জোরাল হলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগেই মন্ত্রক জানিয়েছিল, ভারতে জেএন.১ সাবভেরিয়েন্টে আক্রান্তের ২১টি ঘটনার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্তের সাম্প্রতিক সংখ্যাবৃদ্ধির পিছনে কোভিডের এই নয়া স্ট্রেনই দায়ী বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এদিকে, কোভিডের নতুন স্ট্রেন জেএন.১-কে হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত নয় বলে সতর্ক করেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। একে সাধারণ সর্দি-কাশি বলে হেলাফেলা করলে, বিপদ বাড়তে পারে। ডা. স্বামীনাথন জানিয়েছেন, সাধারণ সর্দি-কাশির থেকে এটা অনেকটই আলাদা। কোভিডের তীব্র উপসর্গ না থাকলেও, কোভিডের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেছেন, “আমাদের কাছে গোটা বিশ্ব থেকে যে তথ্য এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যারা কোভিড-এ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং বিশেষ করে যারা বারবার সংক্রামিত হচ্ছেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া, অবসাদ, মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি এবং পেশীর ব্যথার মতো অসুস্থতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি থাকছে। তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারছেন না।”