Kerala: চাঁদা তুলে ২৫০ টাকা লটারির টিকিট কিনেছিলেন ১১ মহিলা, জিতলেন ১০ কোটি টাকা!

11 Kerala women win lottery: এমনকি, নিজের ভাগের টাকাটা দেওয়ার জন্য একজনকে ধার পর্যন্ত করতে হয়েছিল। বুধবার, সেই লটারির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে, কেরলের পরপ্পানংগাদি পৌরসভার হরিৎ কর্ম সেনার ১১ জন মহিলা এখন কোটিপতি!

Kerala: চাঁদা তুলে ২৫০ টাকা লটারির টিকিট কিনেছিলেন ১১ মহিলা, জিতলেন ১০ কোটি টাকা!
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2023 | 10:18 AM

মলপ্পুরম: কোটি পতি হওয়ার স্বপ্ন তাঁরা কেউ দেখেননি। টাকার ব্যাগে যাদের ২৫ টাকাও থাকে না, তাঁরা কীভাবেই বা কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন? তবু তাঁরা লটারির টিকিট কাটতেন, নিয়মিত। ২৫০ টাকার টিকিট একা কেনার ক্ষমতা ছিল না। ফলে ১১ জন মহিলা প্রত্যেকে চাঁদা দিয়ে লটারির টিকিট কিনতেন। সপ্তাহ খানেক আগেও এরকমই এক লটারির টিকিট কিনেছিলেন তাঁরা। এমনকি, নিজের ভাগের টাকাটা দেওয়ার জন্য একজনকে ধার পর্যন্ত করতে হয়েছিল। বুধবার, সেই লটারির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে, কেরলের পরপ্পানংগাদি পৌরসভার হরিৎ কর্ম সেনার ১১ জন মহিলা এখন কোটিপতি!

১০ কোটি টাকার বাদল বাম্পার পুরস্কার জিতেছেন এই মহিলারা। তাঁরা জানিয়েছেন, এর আগেও বহুবার তাঁরা চাঁদা তুলে লটারির টিকিট কিনেছেন। ছোটখাট পুরস্কারও জিতেছেন। কিন্তু মেগা পুরস্কার জিতবেন, তা কখনও ভাবেননি। প্রতিবারের মতো এবারও অবশ্য লটারির ফলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। তাঁদের এক প্রতিবেশী পালাক্কাড় থেকে কেনা টিকিটে প্রথম পুরস্কার জেতেন। সেই খবর পেয়ে, নিজেদের ভাগ্যকে দোষ দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই খবর আসে তাদের মেগা পুরস্কার জয়ের। ১১ জনের অন্যতম, রাধা বলেছেন, “আমরা অবশেষে জ্যাকপট জিতেছি জানার পর, উচ্ছ্বাস এবং আনন্দের কোনও সীমা ছিল না। আমাদের সকলের অত্যন্ত কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটে। এই অর্থে আমাদের সমস্যাগুলি কিছুটা হলেও মিটবে।”

হরিৎ কর্ম সেনারা বাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অ-জৈব বর্জ্য সংগ্রহ করেন। সেগুলি পুনর্ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। অনেকের ক্ষেত্রেই হরিৎ কর্ম সেনার সদস্য হিসাবে যে নামমাত্র বেতন পান, সেটাই তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জন। হরিৎ কর্ম সেনা কনসোর্টিয়ামের চেয়ারম্যান শীজা বলেছেন, “যোগ্য ব্যক্তিদের দিকেই মুখ তুলে চেয়েছেন ভাগ্যলক্ষ্মী। বিজয়ীরা সকলেই অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং তাদের পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস। অনেকেকে ঋণ শোধ করতে হবে। অনেককে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে বা নিকটাত্মীয়দের চিকিৎসার খরচ মেটাতে হবে। জীবনের কঠোর বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করেন তাঁরা।” জানা গিয়েছে, বাম্পার লটারি বিজয়ীদের দেখতে এবং তাঁদের অভিনন্দন জানাতে বৃহস্পতিবার বিপুল সংখ্যক মানুষ পৌরসভার গোডাউন চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন।