নয়া দিল্লি: মা-বাবার সঙ্গে বাজারে এসেছিল শপিং করতে। কিন্তু এক দোকানে বেশিক্ষণ মন টিকছিল না ১১ বছরের ছোট্ট মেয়েটির। শান্তভাবে এক জায়গায় বসাতে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিল তাঁর মা-বাবাও। কিন্তু শপিং সেরে বেরতে গিয়েই দেখলেন দোকানের ভিতর থেকে উধাও মেয়ে। বাইরে এসে আশেপাশে দোকান থেকে শুরু করে গোটা মার্কেট চষে ফেললেও কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না ওই কিশোরীকে। বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন মা-বাবা। পুলিশি তৎপরতায় কেবলমাত্র সিসিটিভি ফুটজ দেখেই দুই ঘণ্টার মধ্যে ধরে ফেলা হল অপহরণকারীকে, উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকেও। জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া অটোচালক ওই কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে এবং কু-মতলবেই তাঁকে নিয়ে হরিদ্বারে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লিতেই।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বারাখাম্বা রোড পুলিশ স্টেশনে এক কিশোরীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর মেলে। এরপরই তৎপরতার সঙ্গে খোঁজ শুরু করা হয় ওই কিশোরীর। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় এক অটোচালককে। জেরায় জানা যায়, ওই কিশোরীকে অপহরণ করে হরিদ্বারে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ওই অটোচালক।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পূর্ব দিল্লির বাঙালি মার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি, সঙ্গে তাঁদের ১১ বছরের মেয়েও ছিল। কিন্তু দোকান থেকে তাঁকে না পাওয়া গেলে বারাখাম্বা রোডের পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তারা। এফআইআরের ভিত্তিতেই নয়া দিল্লি জেলার ডিসিপি তদন্তভার নেন এবং একাধিক ট্রাকিং টিম তৈরি করেন। ওই গোটা এলাকার একাধিক দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, ওই কিশোরী একটি অটোয় উঠেছিল। তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। এসআই উমেশ যাদব ও ইন্সপেক্টর মৌসম ঘানির নেতৃত্বে পুলিশের দল ওই অটোর নম্বরপ্লেট দেখে তল্লাশি শুরু করে। পূর্ব দিল্লির প্যাসিফিক মল এলাকা থেকে ওই অটোচালককে গ্রেফতার করা হয়, উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকেও।
জেরায় জানা যায়, অভিযুক্তের নাম রঘু নাথ (৭২)। তিনি গীতা কলোনির বাসিন্দা। ঘটনার দিন ওই কিশোরী আচমকাই অটোয় উঠে তাঁকে নতুন জায়গা দেখাতে নিয়ে যাওয়ার দাবি করে। ওই কিশোরীর নিস্পাপ মনের সুযোগ নিয়েই শ্লীলতাহানি করে ওই অটোচালক। ধর্ষণের পরিকল্পনাও ছিল তাঁর, সেই উদ্দেশ্যেই তিনি ওই কিশোরীকে নিয়ে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।