Viral Photo of PLA at Russia Border: রাশিয়ার সীমান্তে দাঁড়িয়ে লাল ফৌজের ট্রাক! ভাইরাল ছবিতে তোলপাড় নেটদুনিয়া, কী বলল চিন?
Russia-Ukraine Conflict: সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চিন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইন মাধ্যমে একাধিক ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে চিনের অবস্থান নিয়ে।
বেজিং: যুদ্ধে রাশিয়া(Russia)-কেই যে সমর্থন করছে চিন (China), তা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু শুধুই কি মৌখিক সমর্থন? নাকি সামরিক সাহায্যও করছে চিন? সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ছবি (Viral Photo) ঘিরে সেই রহস্যই তৈরি হয়েছে। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে, রাশিয়ার সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে চিনের সেনা বোঝাই একটি ট্রাক। তবে শুক্রবার চিনের তরফে ওই ছবি প্রসঙ্গে মুখ খোলা হল। সে দেশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল যে, ভাইরাল হওয়া ছবিটি ভুয়ো। লাল ফৌজের (PLA) কোনও বাহিনীকেই রাশিয়ায় পাঠানো হয়নি।
টুইটারে ভাইরাল হওয়া একটি ছবি ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কোনও এক সীমান্তে পিপলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা একটি ট্রাকে বসে রয়েছেন। একাধিক টুইটার ব্যবহারকারী ছবিটি রাশিয়ার সীমান্তে তোলা বলে দাবি করলেও, চিনের ইন্টারনেট ব্যবহারের নজরদারি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আসল ছবিটি ‘ক্রপ’ করে পোস্ট করা হয়েছে। এটি ২০২১ সালের ছবি।
সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চিন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইন মাধ্যমে একাধিক ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে চিনের অবস্থান নিয়ে। শুক্রবার সাউথ চিনা মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমেও যুদ্ধে রাশিয়াকে চিনের মদতের দাবি উড়িয়ে দিয়ে ওই সংস্থার বিবৃতি তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও চিনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ও চিন সেই দাবি অস্বীকার করে।
সিএসির তরফে জানানো হয়েছে, রাতের অন্ধকারে চিনা সেনা বোঝাই ট্রাকের যাতায়াতের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তা দেখিয়ে এই জল্পনা রটানোর চেষ্টা হচ্ছে যে চিন রাশিয়াকে যুদ্ধে সাহায্য করছে। কিন্তু এটি আসলে ২০২১ সালের মে মাসের ছবি। শিনজিংয়ের পশ্চিম প্রদেশে রাতে সেনা মহড়া চলার সময় ওই ছবি তোলা হয়েছিল। তা পিএলএ ডেইলিতে ২০২১ সালের ১০ মে প্রকাশিতও হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ভাইরাল হওয়া টুইটে দাবি করা হয়েছিল, গত ১৪ মার্চ উত্তর-পূর্ব হেইলংজিয়াং প্রদেশে ২০০ থেকে ৩০০ জন পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনাকে একটি ট্রাকে করে নিয়ে যায় এক স্থানীয় গাড়িচালক। সুইফিনহে নামক ওই শহরটি রাশিয়ার সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায়, চিনের লাল ফৌজকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে দাবি করা হয়।