নয়া দিল্লি: দেশে রেকর্ড পরিমাণে সংক্রমণ কমল। বিগত কয়েকদিন ধরেই সংক্রমণ ছিল ১৫ হাজারের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। এরপর আজ একধাক্কায় তা অনেকটাই কম হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি দেশে যে হারে টিকাকরণ হয়েছে সেক্ষেত্রে সংক্রমণ অনেকটা কম থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে চিকিৎসক থেকে সাধারণ জনগণের। তবে বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছেন যে টিকাকরণে রোগের মাত্রাটা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু কখনও সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে না।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৪ হাজার ৩০৬ জন। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ হাজার ৯৫১ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৮ জন।
এদিকে, গতকালের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও, ভয় ধরাচ্ছে দেশের মৃত্যুর গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫৬ জন গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৪৪৩ জন।
তবে গোটা দেশে সংক্রমণ কমলেও শীর্ষে এখনও কেরল, তামিলনাড়ু মহারাষ্ট্র রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এখনও কেরলে (Kerala)। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৬৪ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮৯ জন। তবে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের অন্যদিকে কর্নাটকে একদিনে ২৯০ জন আক্রান্ত। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১১২জন।
তবে উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্য নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা বুলেটিন অনুযায়ী সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২ জন। রাজধানী দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। আবার মিজ়োরামের মতো ছোটো রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯০ ছুঁইছুই। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
সংক্রমণের (Covid19) ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেটেই বাংলায় বাড়ছে আতঙ্ক। সোমবারও এক লাফে অনেকটা বাড়ল এই সংখ্যাটা। রবিবার ২.৩২ শতাংশ পজিটিভিটি রেট ছিল বাংলায়। সোমবার তা বেড়ে হল ২.৭৭ শতাংশ। এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত ২২৯ জন। মৃত ৩। এই নিয়ে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৬০ জন। এখনও অবধি সুস্থ হয়েছেন ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮০৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩০ শতাংশ।