প্রতীকী চিত্র।
পুণে: কবাডি খেলে বাড়ি ফেরার পথেই বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল ১৪ বছরের কিশোরী। আচমকাই সামনে এসে দাঁড়াল একটি বাইক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাইক থেকে দুইজন নেমে লাগাতার ছুরির কোপ (Stabbing) বসাতে শুরু করল কিশোরীর গলায় ও শরীরের অন্যান্য অংশে। আঘাত এতটাই গভীর ছিল যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর (Murder)। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় দুই নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।
ঘটনাটি ঘটেছে পুণে(Pune)-র বিবেওয়াড়ি এলাকায়। বন্ধুদের সঙ্গে কবাডি প্রশিক্ষণ থেকে ফেরার সময়, বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ যশ লনের কাছে দাঁড়িয়ে ওই কিশোরী গল্প করছিল। সেইসময়ই তিনজন তাঁর উপর হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত দুই নাবালককে গ্রেফতার করা হলেও প্রধান অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, একতরফা প্রেমের কারণেই খুন করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরীর বাড়িতে তাদের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় থাকছিলেন। প্রধান অভিযুক্ত, ২২ বছরের ওই যুবক কিশেরীর প্রেমে পড়ে। এদিকে, কিশোরীর পরিবার গোটা ঘটনাটি জানতে পেরেই ওই যুবককে বের করে দেয়।
এরপরও ওই কিশোরীকে উত্তক্ত করা বন্ধ করেনি ওই যুবক। কিন্তু বারংবার প্রত্যাখাত হওয়ার কারণেই খুনের পরিকল্পনা কষে সে।ওই কিশোরী কোনদিন কবাডি ক্লাসে যায়, কোন রাস্তা দিয়ে ফেরে, সবই জানা থাকায় দুই নাবালককে নিয়ে রাস্তার মোড়েই বাইকে অপেক্ষা করছিল ওই যুবক।
নাবালিকা বন্ধুদের সঙ্গে যশ লনের কাছে পৌঁছতেই ওই যুবক ও সঙ্গী এক কিশোর তাঁর গলায় ছুরি চালায়। এরপর গোটা শরীরে লাগাতার ছুরি দিয়ে আঘাত করে তারা। কিশোরী মাটিতে পড়ে যেতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় তারা। বিবেওয়াড়ি থানার ইন্সপেক্টর সুনীল জাওয়ারে জানান, রাতেই দুই নাবালককে গ্রেফতার করা হলেও প্রধান অভিযুক্ত ওই ২২ বছরের যুবক এখনও পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্তের নাম শুভম ভাগবত। ওই কিশোরীর দূর সম্পর্কের দাদা হয় সে। সম্প্রতিই ওই কিশোরীর বাড়িতে কিছুদিনের জন্য থাকতে এসেছিল সে। সেই সময়ই নিজের বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বাড়ির লোককে গোটা বিষয়টি জানাতেই তাঁকে বের করে দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে, যা দেখতে অনেকটা খেলনার বন্দুকের মতো। মনে করা হচ্ছে, ওই বন্দুক দেখিয়েই কিশোরীর বন্ধুদের ভয় দেখানো হয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।