মুম্বই: ওমিক্রনের (Omicron) থাবায় কি এবার স্কুলপড়ুয়ারাও (School Students)? মুম্বইয়ের কাছেই একটি স্কুলের ১৬ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হতেই, নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের স্যানিটাইজেশনের (Sanitization) কাজ শুর হয়েছে। একইসঙ্গে সমস্ত পড়ুয়াদের করোনা পরীক্ষা(COVID Test)-ও করানো হচ্ছে।
মহারাষ্ট্র প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নভি মুম্বইয়ের (Navi Mumbai) একটি স্কুলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এখনও অবধি মোট ১৬ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। করোনা আক্রান্ত এক পড়ুয়ার বাবা সম্প্রতিই বিদেশ থেকে ফেরায় ওমিক্রনের আতঙ্কও ছড়িয়েছে।
ওই পডুয়ার বাবা সম্প্রতিই কাতার (Qatar) থেকে ফিরেছেন। বিদেশ থেকে আসায় কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী গোটা পরিবারই করোনা পরীক্ষা করায়। ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও, বাচ্চাটির রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়।
গত ১৩ ডিসেম্বর স্কুলের একাধিক পড়ুয়ার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট আসতেই দেখা যায়, ৭ পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এরপরই স্কুলের মোট ৬৫০ জন পড়ুয়ার করোনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন করে আরও ৯ জন পড়ুয়ার রিপোর্টও পজেটিভ আসে। সব মিলিয়ে মোট ১৬ জন পড়ুয়া আক্রান্ত হয়েছে এখনও অবধি।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, একসঙ্গে এতজন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ায়, স্কুলের সমস্ত পড়ুয়া ও কর্মীদেরও করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়ে গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে ফের একবার উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। শুক্রবার রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯০২ জন। নতুন করে ৮ জন ওমিক্রন রোগীর খোঁজও মিলেছে। এদের মধ্যে ৬ জন পুণের বাসিন্দা। বাকি দুজনের মধ্যে একজন মুম্বই ও অপরজন কল্যাণ-ডোম্বিভালির বাসিন্দা। এই নিয়ে মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮-এ, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের ওমিক্রন আক্রান্ত যুবককে নিয়েও নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবক করোনা টিকার পাশাপাশি বুস্টার ডোজ়ও নিয়েছিলেন আমেরিকায় থাকাকালীন। তিনটি টিকার সুরক্ষা থাকা সত্ত্বেও তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ায়, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে করোনা টিকাগুলির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শুক্রবারই বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (BMC) তরফে জানানো হয়, ২৯ বছরের এক যুবক ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সম্প্রতিই নিউইয়র্ক থেকে ফিরেছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর বিমানবন্দরে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে, রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপরই জিনোম সিকোয়েন্সিং(Genome Sequencing)-র জন্য তাঁর নমুনা পাঠানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ওই যুবক বর্তমানে উপসর্গহীন এবং তিনি ফাইজ়ারের করোনা টিকার তিনটি ডোজ় নিয়েছিলেন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর যে দুজনের সংস্পর্শে সবথেকে বেশি এসেছিলেন ওই যুবক, তাদের পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আপাতত ওই রোগী হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছে।