Kidnapping: অপহৃত ছেলে, মুক্তিপণ দিতে পাঠাল QR কোড, আর তাতেই রহস্য ফাঁস….কী হয়েছিল আসলে?
Police: , ৭ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর কুড়ির এক যুবক। যুবকের বাবা পরেরদিন, ৮ ডিসেম্বর ভাসাই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্তও শুরু করে। তবে পরেরদিনই যুবকের ফোন আসে। সে তাঁর বাবাকে জানায়, তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করেছে।
মুম্বই: কলেজে পড়ে ছেলে। বাড়ি থেকে ৭ ডিসেম্বর বেরিয়েছিল, কিন্তু তারপর আর ফেরেনি। ভয়ে, আতঙ্কেই পুলিশের দ্বারস্থ হন বাবা। থানায় দায়ের করেন নিখোঁজ ডায়েরি। অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তও শুরু করে পুলিশ। তন্নতন্ন করে খুঁজে দিন কয়েক বাদে খোঁজ মিলল যুবকের। তবে উদ্ধারের পর যুবকের মুখ থেকে পুলিশ যা শুনল, তাতে মাথায় হাত সকলের।
রবিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, ৭ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর কুড়ির এক যুবক। যুবকের বাবা পরেরদিন, ৮ ডিসেম্বর ভাসাই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্তও শুরু করে। তবে পরেরদিনই যুবকের ফোন আসে। সে তাঁর বাবাকে জানায়, তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করেছে। মুক্তিপণ বাবদ ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। একদিনের মধ্যে এই টাকা না দিলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে। ছেলের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে একটি কিউআর কোডও পাঠানো হয় মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য।
ওই ফোন পাওয়ার পরই পুলিশের চারটি দল ভাসাই, বিরার, নাল্লাসোপারা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। ফোনের লোকেশন ট্রাক করে এবং একাধিক সূত্র ধরেই শনিবার ভাসাইয়ে ওই যুবকের হদিস পাওয়া যায়। ওই যুবককে উদ্ধার করে যখন পুলিশ জেরা করে, তখন নানা গল্প শোনায় ওই যুবক। বয়ানে অসংগতি থাকায় আরও জেরা করা হয়। এরপরই যুবক স্বীকার করে নেয় যে সে নিজেই অপহরণের ফন্দি এঁটেছিল বাবার কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য। আগেও বাবার কাছে টাকা চেয়েছিল ওই যুবক, কিন্তু তাঁর বাবা রাজি হয়নি। সেই কারণেই অপহরণের গল্প ফাঁদে সে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।