সংক্রমণের দুটি ঢেউয়ে হবু মায়েদের শরীরে করোনা বাসা বাঁধলেও সংক্রমণমুক্ত ত্রিপুরার ২২৫ নবজাতকই

হাসপাতালের সুপার ডঃ সঞ্জীব দেববর্মাও জানান যে করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময় আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ ও জিবিপি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আলাদাভাবে ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছিল।

সংক্রমণের দুটি ঢেউয়ে হবু মায়েদের শরীরে করোনা বাসা বাঁধলেও সংক্রমণমুক্ত ত্রিপুরার ২২৫ নবজাতকই
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 04, 2021 | 3:02 PM

আগরতলা: এক বছরের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের দুটি ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। করোনার হাত থেকে নিস্তার পাননি গর্ভবর্তী মহিলা বা নবজাতকরাও। তবে সামান্য ভিন্ন চিত্র দেখা গেল ত্রিপুরায়। সেখানে দুটি সংক্রমণের ঢেউয়ে মোট ২২৫ জন গর্ভবতী মহিলা করোনা আক্রান্ত হলেও কোনও শিশুই করোনা আক্রান্ত হয়নি।

আগরতলা মেডিক্যাল কলেজে প্রথম ঢেউয়ের সময় ১৯৮ জন গর্ভবতী মহিলা করোনা আক্রান্ত অবস্থায় ভর্তি হন। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই সংখ্যাটিই কমে ২৭-এ দাঁড়ায়। এই বিষয়ে হাসপাতালের গাইনোকোলজি বিভাগের প্রধান ডঃ জয়ন্ত রায় বলেন, “কমপক্ষে ২২৫ জন করোনা আক্রান্ত মহিলা সন্তান প্রসব করলেও সদ্যজাতদের মধ্যে কেউই করোনা আক্রান্ত হয়নি। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও মায়েদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তাঁরা নবজাতকদের বিশেষ দেখভাল করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজেদের সেরাটুকু দিয়ে মা ও নবজাতকদের বিশেষ খেয়াল রেখেছেন। আমাদের বহু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও করোনা আক্রান্ত হলেও তারা নবজাতকদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়েছে।”

হাসপাতালের সুপার ডঃ সঞ্জীব দেববর্মাও জানান যে করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময় আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ ও জিবিপি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আলাদাভাবে ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ৪০০ টাকার টিকা বিক্রি হচ্ছে ১৫৬০ টাকায়! আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শিরোমণি আকালি দলের প্রধানের