অর্থ পাচারের দায়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত কতজন দোষী? সামনে এল ইডির ১৭ বছরের হিসাব
Enforcement Directorate: গত ১৭ বছরে অর্থ পাচারের অভিযোগে ৪০০ জনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার মধ্যে ২৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
নয়া দিল্লি: ২০০৫ সালের ১ জুলাই বেআইনি অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের আওতায় দায়ের হওয়া মামলাগুলির তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি-কে। গত ১৭ বছরে বেআইনি অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৫,৪২২ টি মামলা দায়ের করেছে ইডি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯৯২ টি ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। একই সময়ে অর্থ পাচারের অভিযোগে ৪০০ জনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার মধ্যে ২৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। পাশাপাশি, ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১৭৩৯ টি অর্ডারের ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে ১,০৪,৭০২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
জানা গিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হওয়া ২৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক পাচার, বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান এবং সরকারি তহবিল নিয়ে নয় ছয় করার অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের মুখে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, সরকারি আমলা, ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধার, কর্পোরেট সংস্থা, বিদেশী নাগরিক-সহ বেশ কয়েকজন হাই-প্রোফাইল ব্যক্তি।
তবে শুধু বেআইনি অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের লঙ্ঘনের বিষয়েই নয়, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটকে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-ও লাগু করার দায়িত্ব রয়েছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। ১৯৯৯ সালে ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্টের বদলে এই আইন আনা হয়েছিল। পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই আইনের আওতায় ৩০,৭১৬ টি মামলার তদন্ত শুরু করেছে ইডি। ১৫,৪৯৫টি মামলার তদন্ত খারিজ করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তের শেষে এই আইনে ৮,১০৯ জনকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ২০১৮ সালের ফিউজিটিভ ইকোনমিক অফেন্ডার আইনে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের পক্ষ থেকে ১৪ জন ব্যক্তিকে পলাতক আর্থিক অপরাধী বলে ঘোষণা করার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত থেকে ৯ জনের ক্ষেত্রে সেই আবেদন মেনে নেওয়া হয়েছে। এই ৯ জনের মধ্যে আছে বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীর মতো বড় শিল্পপতিরা। এই আইনের আওতায় ৪৩৩ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।