নিউ দিল্লি: কমছে করোনা। অন্তত এই মুহূর্তে এটাই বলছে পরিসংখ্যান। কখনও বেশি, কখনও বা কমছে দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একটানা তিনদিন আক্রান্তের সংখ্যা তিরিশ হাজারের নীচে থাকার পরে দৈনিক সংক্রমণ ফের তিরিশ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। আতঙ্কে প্রহর গোনা শুরু করেছিল আসমুদ্র হিমাচল। তবে ঘর পোড়া গোরুদের স্বস্তি দিয়ে আজ ফের সংক্রমণ কমে এল তিরিশ হাজারের নীচে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৬১৬ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৩১ হাজার ৩৮২ জন। কয়েকদিন আগেও হু-হু করে বেড়ে গিয়েছিল সংক্রমণের গ্রাফ। এরপর কয়েকদিন সংখ্যাটা ৩০ হাজারের নীচে ছিল। পরে আবার ৩০ হাজার ছাড়ায়।
এদিকে আবার করোনাকে হারিয়েকে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৮ হাজার ৪৬ জন। গতকালের পরিসংখ্যান ছিল ৩২ হাজার ৫৪২ জন। ওঠা-নামা করছে মৃত্যুর গ্রাফ। তবে স্বস্তি দিয়ে আজ এক ধাক্কায় মৃত্যু কমে দাঁড়িয়েছে ২৯০।
তবে কেরলে হু-হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও। এই করণেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের কপালে। এখনও আক্রান্তের নিরিখে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে সেখানে ১৭ হাজার ৯৮৩ জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। বিগত কয়েক দিনে আক্রান্তের নিরিখে তামিলনাড়ু দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তাকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল এবার মহারাষ্ট্র। বাণিজ্য নগরী-সহ রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৬ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানেও কিছুটা বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৩৩ জনের শরীরে সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। এখনও অবধি এই দুই রাজ্যে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৬ ও ৩৫ হাজার ৪৫৪ দাঁড়িয়েছে।
আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বিগত কয়েকদিন ধরে সাতশোর আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল সংক্রমণের গ্রাফ। এরপর কয়েকদিন তা কমে ৬০০-র আশেপাশে দাঁড়ায়। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় ফের এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৪ জন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৭১৬ জনের।
এদিকে, উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্যে কিন্তু সংক্রমণের রিপোর্ট অনেকটাই কম। গোটা রাজ্যে দৈনিক মোট আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২৮ জন। বিগত দু’সপ্তাহ ধরে এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ এর নীচেই রয়েছে। তবে মোট মৃতের সংখ্যা ২২ হাজারের আশে পাশেই ঘোরাঘুরি করছে। অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ভাবাচ্ছিল মিজ়োরামের সংক্রমণের গ্রাফ। তবে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য থেকে বিগত কয়েকদিন স্বস্তির খবর মিললেও ফের বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১হাজার ৩২২ জন।
টিকাকরণের হার বাড়িয়ে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রেণে রাখার চেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ লাখ ৪ হাজার ৫১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৮৪ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Hearing Issue: প্যান্ডেমিক আমাদের শ্রবণশক্তি কমিয়ে দিয়েছে! নিরাময়ের উপায়গুলো জেনে নিন…