Landslide in Uttarakhand: ভূমিধসে সাফ ১০০ মিটার রাস্তা, উত্তরাখণ্ডের দুর্গম এলাকায় আটকে ৩০০ পর্যটক
উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার লিপুলেখ ও তাওয়াঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাস্তাতেই নেমেছে ভূমিধস। ধারাচুলা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার উপরে লখনপুর এলাকায় ভূমিধসের জেরে রাস্তা ভেঙে পড়েছে। প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পিথোরাগড়: ফের ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটল উত্তরাখণ্ডে। ভূমিধসের জেরে সে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি রাস্তা ভেঙে পড়েছে। এর জেরে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ। প্রায় ৩০০ জন ভূমিধসের জেরে আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি রাস্তার যে অংশ ভূমিধসে ধুয়ে মুছে গিয়েছে, তা তৈরির কাজও শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সে রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার লিপুলেখ ও তাওয়াঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাস্তাতেই নেমেছে ভূমিধস। ধারাচুলা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার উপরে লখনপুর এলাকায় ভূমিধসের জেরে রাস্তা ভেঙে পড়েছে। প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
লিপুলেখ ও তাওয়াঘাটের সংযোগকারী রাস্তা ভেঙে পড়ায় ধারাচুলা ও গুঞ্জি এলাকায় পর্যটকরা আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৩০০ জন পর্যটক আটকে রয়েছেন সেখানে। এ নিয়ে সেখানকার জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “পিথোরাগড়ের প্রান্ত এলাকায় লিপুলেখ-তাওয়াঘাট রাস্তায় ধারাচুলা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার উপরে লখনপুরের কাছে রাস্তা ভেঙে পড়েছে। ভূমিধসের জেরে সেখানে প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা ধসে গিয়েছে। প্রায় ৩০০ জন ধারাচুলা ও গুঞ্জিতে আটকে পড়েছেন।” ওই পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ওই আধিকারিক। আগামী ২ দিনের মধ্যে রাস্তা তৈরি করে ফের ওই রাস্তা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা ওই আধিকারিকের।
আগামী কয়েক দিনে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন প্রান্তে আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের আলমোরা, বাগেশ্বর, চামোলি, চম্পাবত, দেহরাদূন, গারোয়াল, হরিদ্বার, নৈনিতাল, রুদ্রপ্রয়াগ, পিথোরাগড়, উত্তর কাশীর মতো জেলা গুলিতে বজ্রবৃষ্টি ও ধুলো ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। পুলিশও তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের সাবধানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। অকারণে ঘর থেকে বেরতেও নিষেধ করা হয়েছে। যমুনেত্রী ও গঙ্গোত্রী ধাম যাত্রায় গেলে আবহাওয়ার অবস্থা বুঝে তবেই যাত্রা করতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।