প্রয়াগরাজ: পাশের বাড়িতে প্রায়সময়ই অশান্তি লেগে থাকত, কিন্তু শুক্রবার থেকেই হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যায় গোটা বাড়ি। রাতে নেভেনি ঘরের লাইটও। সেই দেখেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীর, তাই সকালেই দাঁত মাজতে মাজতেই উঁকি দিয়েছিলেন প্রতিবেশীর ঘরে। উঁকি মারতেই যে দৃশ্য দেখলেন, তাতে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার উপক্রম। কী দেখেছিলেন ওই বাড়িতে? দেখতে পেয়েছিলেন গোটা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পরপর মেঝেতে শোয়ানো চারটি দেহ। বাড়ির উঠোনে ঝুলছে আরেকটি দেহ। একই পরিবারের পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করেই দানা বেঁধেছে রহস্য। মনে করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের খুন (Murder) করেই গৃহকর্তা আত্মহত্যা (Suicide) করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার প্রয়াগরাজের খাগলপুর গ্রাম থেকে এক ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী ও তিন কন্যার দেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির ভিতর থেকে ৩৮ বছর বয়সী ওই মহিলা ও তাঁর তিন কন্যা, যাদের বয়স ১৪, ১০ ও ৮, তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়। চারজনকেই গলার নলি কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে, ৪২ বছর বয়সী গৃহকর্তার দেহও উঠোন থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এক প্রতিবেশীই শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ প্রথম দেহগুলিকে দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন।
প্রয়াগরাজের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট অজয় কুমার জানিয়েছেন, ঘরে তল্লাশি চালিয়ে দুই পাতার একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই চিঠিতে ওই ব্যক্তি তাঁর শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে জমি নিয়ে বচসার কথা উল্লেখ করেছেন, তার স্ত্রীর পরিবারের কয়েকজনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। ইতিমধ্যেই দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তের জন্য সাতটি দলও গঠন করা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির বড় দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় ওই ব্যক্তির স্ত্রীর পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি গরুর ব্যবসা করতেন। খাগলপুরে তারা ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। জমি সংক্রান্ত সমস্যা ও পারিবারিক বিবাদের জেরেই তিনি স্ত্রী ও তিন কন্য়াকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করে নেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Sexual Harassment: খেলার নাম করেই সাড়ে ৪ বছরের শিশুকে ‘যৌন হেনস্থা’, অভিযুক্ত ৯ বছরের কিশোর!
আরও পড়ুন: Fire at Cinema Hall : ১৯৯৭ সালের স্মৃতি উসকে আগুন দিল্লির সিনেমা হলে