Stealing: এ কেমন চোর! থানা থেকে ১২৫ বোতল মদ চুরি করে শ্রীঘরে ASI সহ ৫ পুলিশ

Police Station: থানায় পরিদর্শনে আসার কথা ছিল শীর্ষ আধিকারিকদের। তার আগে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের হিসাব করতে বসেই দেখা যায়, বেশ কয়েকটি মদের বাক্স ফাঁকা। উধাও কয়েকটি টেবিল ফ্যানও। সঙ্গে সঙ্গে থানায় হুলুস্থুল পড়ে যায়। পরে হিসাব কষে দেখা যায় ১২৫টি মদের বোতল ও ১৫টি ফ্যান উধাও হয়ে গিয়েছে।

Stealing: এ কেমন চোর! থানা থেকে ১২৫ বোতল মদ চুরি করে শ্রীঘরে ASI সহ ৫ পুলিশ
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2023 | 11:01 AM

আহমেদাবাদ: রক্ষকই যখন ভক্ষক। চোরদের ধরার দায়িত্ব পুলিশের, কিন্তু সেই পুলিশই যদি চুরি করে! কন্সটেবল থেকে শুরু করে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর-সকলেই জড়িত এই চক্রে। থানা থেকে রাতারাতি বাজেয়াপ্ত করা ১২৫ বোতল মদ ও ১৫টি টেবিল ফ্যান চুরি করেন থানারই পাঁচ পুলিশকর্মী। বাইরে চড়া দামে বিক্রি করে দেন ফ্যান ও মদ। বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রেফতার করা হয় ওই পাঁচ পুলিশকর্মীকে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের মাহিসাগর জেলায় একটি পুলিশ স্টেশনে।

জানা গিয়েছে, মাহিসাগর জেলার খানপুর তালুকায় বাকোর পুলিশ স্টেশনেই এই চুরি হয়। সম্প্রতিই বাকোর পুলিশ এক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪৮২ বোতল দেশি মদ ও ৭৫টি টেবিল ফ্যান বাজেয়াপ্ত করে। গুজরাটে মদ নিষিদ্ধ। অভিযুক্ত ব্যক্তি ফ্যানের বাক্সে লুকিয়ে মদ পাচারের চেষ্টা করছিলেন। বাজেয়াপ্ত ওই মদ স্টোর রুমে রাখা ছিল। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায়, থানায় মহিলাদের লক-আপে মজুত রাখা হয়েছিল যাবতীয় বাজেয়াপ্ত জিনিসপত্র।

থানায় পরিদর্শনে আসার কথা ছিল শীর্ষ আধিকারিকদের। তার আগে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের হিসাব করতে বসেই দেখা যায়, বেশ কয়েকটি মদের বাক্স ফাঁকা। উধাও কয়েকটি টেবিল ফ্যানও। সঙ্গে সঙ্গে থানায় হুলুস্থুল পড়ে যায়। পরে হিসাব কষে দেখা যায় ১২৫টি মদের বোতল ও ১৫টি ফ্যান উধাও হয়ে গিয়েছে। ১২৫টি মদের বোতলের বাজারমূল্য ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা এবং টেবিল ফ্যানগুলির দাম ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মদ ও টেবিল ফ্যান বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

এরপরই থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে দেখা যায়, থানার এএসআই অরবিন্দ কান্ত গত ২৫ অক্টোবরের রাতে ডিউটি থাকাকালীনই চুরি করেন। তাঁকে সঙ্গ দেন হেড কন্সটেবল ললিত পারমার। রাত ১০টা নাগাদ তারা লক-আপে ঢুকে একে একে মদের বোতল সরান। এরপরেই তাঁদের খেয়াল হয় যে সিসিটিভিতে সবকিছু ধরা পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কিছুক্ষণের জন্য় সিসিটিভি বন্ধ করে দেন এএসআই। এর মাঝেই বাকি হাত সাফাই চলে।