ফের জোড়া এনকাউন্টার উপত্যকায়, আত্মসমপর্ণে বাধা দেওয়ায় মৃত কিশোর সহ ৫ জঙ্গি
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাদিপোরায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে এক কিশোরও ছিল। সে আত্মসমর্পণ করতে চাইলেও বাকি সঙ্গীরা বাধা দেয়। এরপরই গুলির লড়াইয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
শ্রীনগর: একের পর এক এনকাউন্টার চলছে উপত্যকায়। রবিবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়, উপত্যকার দুটি ভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছিল। তাতে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। আহত হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর দুই কর্মীও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনন্তনাগ (Anantnag) ও সোপিয়ান(Shopian)-র হাদিপোরায় এনকাউন্টার (Encounter) অভিযান শুরু হয়। এরমধ্যে হাদিপোরায় তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নাবালকও ছিল। অন্যদিকে শুক্রবার অনন্তনাগে মৃত জওয়ান মহম্মদ সালেমের উপর হামলাকারীদের খুঁজতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। সেখানেই দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।
এ দিকে, হাদিপোরার ওই ১৪ বছরের কিশোর শুক্রবার থেকেই নিখোঁজ ছিল বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। আশেপাশের লোকজনদেরও তাঁরা খবর দিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, বাড়ি থেকে পালিয়ে ওই কিশোর জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিল। শনিবার বিকেলে হাদিপোরা গ্রামে জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেতেই তল্লাশি অভিযান চালায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সিআরপিএফ।
ওই কিশোরের উপস্থিতির খবর মিলতেই ঘটনাস্থানে তাঁর মা-বাবাকে নিয়ে আসা হয় এবং আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই কিশোর আত্মসমর্পণে রাজি হলেও লুকিয়ে থাকা বাকি জঙ্গিরা তাকে বাধা দেয়। এরপরই শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতেই দুই জঙ্গি সহ ওই কিশোরও মারা যায়। ঘটনাস্থান থেকে একটি পিস্তল ও রাইফেল উদ্ধার হওয়ায় ওই কিশোরের কাছে কোনও অস্ত্র ছিল না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বলেন, “গতকাল বিকেলেই ওই কিশোর তাঁর মা-বাবাকে ফোন করেছিল। এক জঙ্গির মৃত্যুর খবর দিয়ে তাঁকে উদ্ধারের অনুরোধও জানিয়েছিল। আমরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও আসিফ নামক আর এক জঙ্গি তাঁকে আত্মসমর্পণে বাধা দেয় এবং গুলির আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়।”
এই নিয়ে গত তিনদিনে মোট চারটি এনকাউন্টার অভিযান হল কাশ্মীরে। এতে মোট ১২ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। তবে তাঁরা কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীর মৃত্যুতে শাসানি কংগ্রেস নেতার, ‘অপমানে’ ইস্তফা চিকিৎসকের