নয়া দিল্লি: বছর শেষ হতে চলল। তার মধ্যে আতঙ্ক করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের। বিশ্বের পাশাপাশি সারা দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে পরপর কিছুদিন স্বস্তি দেওয়ার পর সামান্য বেড়েছে দেশের করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্যগুলিতে বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও ওমিক্রন রুখতে বুস্টার ডোজ়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে সামান্য পরির্বতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৫০ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৭ হাজার ৩৯৪ জন। যা গতকালের তুলনায় এক হাজার কম। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৩৭৪ জন।
একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে । দৈনিক আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭৫ জন। মোট ৭৭ হাজার ৫১৬ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। এদিকে,দেশে ৭ হাজার ৫১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৭ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তবে আক্রান্তের নীরিখে এখনও দেশের দক্ষিণের দেশগুলিই এগিয়ে। তার মধ্যে প্রথমে রয়েছে কেরল। সেখানে একদিনে ২ হাজার ৫১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩২৩ জনের। দ্বিতীয় স্থানে আছে মহারাষ্ট্র। চলতি মাসে সেখানে করোনা আক্রন্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে ১ হাজার ১৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ১৪ জনের। আগের তুলানয় যেই সংখ্যাটা অনেকটাই কমেছে। তৃতীয়স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৩২ জন। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কারোর মৃত্যু হয়নি। অন্যদিকে, দিল্লিতেও বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ মানুষ।
এই রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫১৬ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। যদিও গতকালের তুলনায় অনেকটাই কমেছে সংক্রমণ, তবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বেড়েছে এ দিন।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ক্রমশ ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ভারতে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনার (Coronavirus) নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের সূত্রপাত হলেও ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে পৌঁছে গিয়েছে সেই আতঙ্ক। একে একে ২৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছে ভারতে। অনেকেই ইতিমধ্যে করোনামুক্তও হয়েছে।
আরও পড়ুন: Omicron Variant: ওমিক্রন রোধে কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর