Leopard Attack: ভিড়ের ফাঁকেই তিরুপতি মন্দিরের রাস্তা থেকে কিশোরীকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল চিতাবাঘ, ১ দিন পর মিলল ক্ষত-বিক্ষত দেহ
Tirupati: লক্ষ্মীতার বাবা দীনেশ বলেন, "তিরুমালা মন্দিরের পথ ধরে যাচ্ছিলাম, আমার মেয়ে কয়েক পা এগিয়ে হাঁটছিল। ও বিস্কুট কিনতে যায়। প্রচুর ভিড় থাকায় আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যে ও সামনে হাঁটছে। কিন্তু কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও না ফেরায় আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে জানতে পারি চিতাবাঘ টেনে নিয়ে গিয়েছে।"
তিরুমালা: বাবা-মায়ের হাত ধরে মন্দিরে যাচ্ছিল ছয় বছরের লক্ষ্মীতা। খিদে পাওয়ায় বাবার থেকে ১০ টাকা নিয়ে রাস্তার ধারের দোকানে গিয়েছিল বিস্কুট কিনতে। সেই শেষ দেখা। এরপর থেকেই আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ওই কিশোরীকে। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পর শনিবার অবশেষে পাওয়া গেল ওই কিশোরীকে। তবে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায়। জানা গেল চিতাবাঘ (Leopard) টেনে নিয়ে গিয়েছিল ওই কিশোরীকে। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) তিরুমালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার তিরুপতির তিরুমালা মন্দিরে (Tirupati Tirumala Temple) পুজো দিতে যাচ্ছিলেন দীনেশ, শশীকলা ও তাদের একমাত্র কন্যা লক্ষ্মীতা। তিরুমালা মন্দিরে যাওয়ার পথে আলিপিরির কাছে নরসিমহা স্বামী মন্দিরের কাছে পৌঁছতেই মেয়ে খাবারের বায়না ধরে। দীনেশ পকেট থেকে ১০ টাকা বের করে মেয়েকে দিয়েছিলেন বিস্কুট কেনার জন্য। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের কাছে সাহায্য যান। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পর শনিবার ভোরে লক্ষ্মীনরসিমহা স্বামীর মন্দিরের কাছ থেকে নাবালিকার ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি উদ্ধার করে তিরুপতির সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর কিশোরীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
লক্ষ্মীতার বাবা দীনেশ বলেন, “তিরুমালা মন্দিরের পথ ধরে যাচ্ছিলাম, আমার মেয়ে কয়েক পা এগিয়ে হাঁটছিল। ও বিস্কুট কিনতে যায়। প্রচুর ভিড় থাকায় আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যে ও সামনে হাঁটছে। কিন্তু কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও না ফেরায় আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে জানতে পারি চিতাবাঘ টেনে নিয়ে গিয়েছে। শনিবার সকালে লক্ষ্মী নরসিমহা স্বামীর মন্দিরের সামনে থেকে ওর দেহ উদ্ধার করা হয়।”
কিশোরীর পরিবার ও পূণ্যার্থীরা তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম মন্দির কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করা হয়। অভিযোগ, মন্দির যাওয়ার জন্য পাহাড়ি পথে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয় না। গত মাসেই চিতাবাঘের আক্রমণে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। এরপরও মন্দির কর্তৃপক্ষ পূণ্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
এদিকে, তিরুপতি তিরুমালা দেবস্থানম কর্তৃপক্ষের তরফে মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিরুপতি মন্দির যাওয়ার পথে নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও জানানো হয়েছে।