AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

surgical strike: ৪ ঘন্টার অভিযানে নির্মূল সন্ত্রাসবাদীরা, জেনে নিন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সম্পূর্ণ কাহিনি

ভারত বা পাকিস্তান কেউই ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের রাতের কথা ভুলতে পারে না। ভারতীয় সেনা কমান্ডোরা পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করে চালিয়েছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।

surgical strike: ৪ ঘন্টার অভিযানে নির্মূল সন্ত্রাসবাদীরা, জেনে নিন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সম্পূর্ণ কাহিনি
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2022 | 1:20 PM
Share

নয়া দিল্লি: ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের রাতটা ভারত বা পাকিস্তান, কোনও দেশের পক্ষেই ভোলা সম্ভব নয়। নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনা করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে ঐতিহাসিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের চিত্রনাট্য লেখা হয়ে গিয়েছিল ১০ দিন আগেই। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর যখন পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা উরির সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ভারতের ১৮ জন সেনাকে জওয়ানকে হত্যা করেছিল, তখনই।

২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতের অন্ধকারে, পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে অবস্থিত ভারতীয় সেনা ঘাঁটিতে হামলা করেছিল। হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। এর জন্য পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদকে দায়ী করেছিল ভারত। হামলার পরের দিনই ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ে এবং স্থানে এর জবাব দেওয়া হবে। পাকিস্তানের কাছেও এই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। তৎকালীন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বিক্ষোভ থেকে মনোযোগ ঘোরাতে ভারত নিজেই উরিতে হামলা চালিয়েছে।

উরিতে সন্ত্রাসী হামলার ১০ দিন পর, ২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে জবাব দিয়েছিল ভারত। ২৮ সেপ্টেম্বরই সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছিল। ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে বারোটায় শুরু হয়েছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। ভোর সাড়ে চারটেয় সন্ত্রাসবাদী লঞ্চ প্যাডগুলি ধ্বংস করে ফিরে এসেছিল ভারতীয় সেনারা। অংশ নিয়েছিলেন ভারতীয় সেনার স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা।

নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে হেলিকপ্টারে করে স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোদের নামানো হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁরা এলওসি পেরিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিলেন। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনারা এলওসি বরাবর তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকার মধ্যে প্রবেশ করেছিল। পরপর ৭টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল। সূত্রের খবর, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে ৩৫ থেকে ৭০ জন জঙ্গি খতম হয়েছিল। তবে ৩৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গিয়েছিল। পাকিস্তান দাবি করেছিল তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে এবং আরো ৯জন আহত হয়েছে। তবে এই হামলায় কোনও ভারতীয় সৈন্যের ক্ষতি হয়নি।

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরে, তৎকালীন ডিজিএমও বলেছিলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে ক্রমবর্ধমান অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা রুখতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা প্রয়োজন ছিল। এলওসির কাছে বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসবাদী জড়ো হয়েছিল। তারা ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য প্রস্তুত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদীদের ভারতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকই ছিল একমাত্র বিকল্প।”