নয়া দিল্লি: বর্তমানে দেশের করোনা চিত্র নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ঢিলেমি দিতে কোনও রকম নরাজ দেশের প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা। যে সব রাজ্যে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ এখনও বাড়ছে, সেই সব রাজ্যকে সতর্ক করে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে সর্তক থাকার জন্য শনিবার চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তার মধ্যে কয়েকটি রাজ্যের একাধিক জেলাকেও চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। ২৭টি জেলাকে আলাদাভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে বড়সড় কিছু পরির্বতন বিগত তিনদিন ধরে লক্ষ্য করা যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৫০ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৭ হাজার ৭৭৪ জন। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ২০২ জন।
একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮২৫। মোট ৯১ হাজার ৪৫৬ জন সক্রিয় রোগী রয়েছে। এদিকে,দেশে ৭ হাজার ৯৭৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার ৭৬৮ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তবে আক্রান্তের নীরিখে এখনও দেশের দক্ষিণের দেশগুলিই এগিয়ে। তার মধ্যে প্রথমে রয়েছে কেরল। সেখানে একদিনে ৩ হাজার ৭৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৪৩ জনের। দ্বিতীয় স্থানে আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৭০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ১৬ জনের। আগের তুলানয় যেই সংখ্যাটা অনেকটাই কমেছে। তৃতীয়স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১৬ জন। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কারোর মৃত্যু হয়নি। অন্যদিকে, দিল্লিতে ৫৬ জনের শরীরে করোনার হদিশ মিলেছে।
এদিকে এই রাজ্যে একদিনে সামান্য কমল রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। কমল মৃত্যুও। রবিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। শনিবার প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী একদিনে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬১০ জন। সংক্রমণের বলি হয়েছিলেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৯১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৭৩টি। পজিটিভিটি রেট ১.৫৯ শতাংশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৫৪৮।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ক্রমশ ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ভারতে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনার (Coronavirus) নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের সূত্রপাত হলেও ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে পৌঁছে গিয়েছে সেই আতঙ্ক। একে একে ৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছে ভারতে। অনেকেই ইতিমধ্যে করোনামুক্তও হয়েছে। নাইজেরিয়া থেকেই এসে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছিল এক পরিবার। ১২ বছরের এক কিশোরীর দাঁতে ব্যথা শুরু হয়েছিল প্রথমে। সেখান থেকেই ক্রমশ করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নজরে আসে। পরে দেখা যায় সে ও তার পরিবার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।