Road Accident: শ্বশুরবাড়িতে পা রাখা হল না নববধূর! চালকের ‘ভুলে’র মাশুল গুনতে হল বর-কনে সহ ৯ জনকে
Road Accident: কোটার জেলাশাসক হরিওম মীনা জানান, রাত আড়াইটে নাগাদ বরযাত্রীর গাড়িটি রাজস্থান থেকে মধ্য প্রদেশের দিকে রওনা দেয়। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মধ্য প্রদেশের সীমানায় পৌঁছনোর ঠিক আগেই আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি। রাস্তার পাশেই চম্বল নদীতে পড়ে যায়।
ভোপাল: রাতেই বিয়ে শেষ হয়েছিল। সকালের মধ্যে যাতে ফেরা যায়, তাই বাসররাত না কাটিয়ে, মাঝরাতেই নববধূকে নিয়ে রওনা দিয়েছিল বরযাত্রীরা। কিন্তু বাড়ি অবধি আর পৌঁছনো হল না। তার আগেই সলীল সমাধি হল বর-বধূ সহ নয়জনের। রবিবার ভোরে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার (Accident) খবর পেতেই দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু করা হয়, কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছে। চম্বল নদী (Chambal River) থেকে উদ্ধার করা হয় কেবল নিথর দেহগুলি। আনন্দ অনুষ্ঠানের মাঝেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের (Compensation) ঘোষণাও করা হয়েছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানের মাঝামাঝি অংশে। সেখানের চম্বল নদীতে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয় বর-কনে সহ নয়জনের। জানা গিয়েছে, চালকের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। রবিবার ভোরের দিকে ঘুমের ঘোরে চালকের চোখ লেগে আসায়, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং সোজা চম্বল নদীতে গিয়ে পড়ে।
Major tragedy in Kota after a car carrying groom and the Baraat fell in Chambal river.
9 baraatis including the groom have died in the accident.
The car was going from Barwada to Ujjain.
— Treeni (@_treeni) February 20, 2022
জানা গিয়েছে, রাজস্থান থেকে মধ্য প্রদেশে যাচ্ছিল বরযাত্রী বোঝাই বাসটি, মধ্যে একটি মারুতি গাড়িও ছিল। ওই গাড়িতেই বর-কনে সহ নয়জন ছিলেন। সাওয়াই মাধোপুরে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল, সেখান থেকেই নববধূকে নিয়ে সকলে মধ্য প্রদেশের উজ্জয়নে ফিরছিলেন। রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
কোটার জেলাশাসক হরিওম মীনা জানান, রাত আড়াইটে নাগাদ বরযাত্রীর গাড়িটি রাজস্থান থেকে মধ্য প্রদেশের দিকে রওনা দেয়। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মধ্য প্রদেশের সীমানায় পৌঁছনোর ঠিক আগেই আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি। রাস্তার পাশেই চম্বল নদীতে পড়ে যায়। মৃতদের নাম অবিনাশ বাল্মীকী(২৩), কেশব (৩০), গাড়ির চালক ইসলাম খান (৩৫), কুশল (২২), শুভম (২৩), রোহিত বাল্মীকী (২২), রাহুল (২৫), বিকাশ বাল্মীকী (২৪) ও মুকেশ গোচার (৩৫)।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোটার নয়নপুরা পুলিশ স্টেশনের অধীনে থাকা একটি ব্রিজ থেকে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে পড়ে যায়। পুলিশের দাবি, চালকের ঘুম পেয়ে যাওয়ার কারণেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ব্রিজের রেলিং ভেঙে নীচের চম্বল নদীতে পড়ে যায়। পুলিশের কাছে সকাল ৭টা ৫০ নাগাদ খবর আসে দুর্ঘটনার। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকার্য শুরু করা হয়।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নদীর প্রায় ৭-৮ ফুট গভীরে ঢুকে গিয়েছিল গাড়িটি। উদ্ধারকার্য শুরু করা হলে প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল সাতটি দেহ। পরে বরযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে আরও দুইজনের কথা জানা যায়। নদীতে ফের ডুবুরি নামিয়ে পরে আরও দুইজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের উদ্ধার করে স্থানীয় এমবিএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ময়নাতদন্তের পর দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং যাদের পরিবার দুই বা তার বেশি সদস্য। মারা গিয়েছে, তাদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও শোক প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী গেহলট টুইট করে লেখেন, চম্বল নদীতে পড়ে বর-কনে সহ ৯ জন বরযাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জেনেছি। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।