Juvenile Crime: দিদিকে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বিছানায় দেখে ফেলেছিল বোনেরা, তারই খেসারত দিতে হল নাবালিকাদের
Crime News: জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত অক্টোবরের এক সন্ধেয়। তরুণীর বাবা-মা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। দুই বোনও বাইরে খেলতে গিয়েছিল। বাড়ি পুরো ফাঁকা। এই সুযোগে তরুণী ফোন করে তার প্রেমিককে বাড়িতে ডাকে। জানায়, বাড়িতে কেউ নেই।
উত্তর প্রদেশ: সবে উনিশে পা রেখেছে। নতুন নতুন প্রেমে পড়েছিল তরুণী। এলাকারই এক সমবয়সী তরুণের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল ঘনিষ্ঠতা। স্বপ্ন দেখেছিল ওই তরুণের সঙ্গে একসঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর। অপেক্ষা করছিল, তরুণের একটি চাকরি পাওয়ার। চাকরি পেলেই বাড়িতে বাবা-মাকে নিজেদের সম্পর্কের কথা জানাত। এরকমই চিন্তাভাবনা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে সব স্বপ্ন যেন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলেছিল তরুণীকে দেখে ফেলেছিল দুই নাবালিকা বোন। তারপর ভয়ে কোদাল দিয়ে দুই বোনের গলায় মোক্ষম কোপ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই বোনের। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার পর তদন্তে নেমে পুলিশ ওই তরুণীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে।
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত অক্টোবরের এক সন্ধেয়। তরুণীর বাবা-মা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। দুই বোনও বাইরে খেলতে গিয়েছিল। বাড়ি পুরো ফাঁকা। এই সুযোগে তরুণী ফোন করে তার প্রেমিককে বাড়িতে ডাকে। জানায়, বাড়িতে কেউ নেই। প্রেমিকার ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়ির দিকে ছোটে ওই তরুণ। অল্পক্ষণের মধ্যেই দু’জন অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠে। কিন্তু কপালের ফের! এর মধ্যেই আচমকা বাড়িতে ফিরে আসে তরুণীর দুই নাবালিকা বোন। দিদিকে তার প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে তারা। ঘটনায় আকস্মিকতায় কিছুটা ঘাবড়ে যায় তরুণী। ভাবে, এবার হয়ত দুই বোন বাবা-মাকে সব বলে দেবে। আর সেই ভয় থেকেই তরুণী ও তার প্রেমিক ঝাপিয়ে পড়ে দুই বোনের দিকে। বাড়িতে থাকা কোদাল দিয়ে এক কোপে দুই বোনকে মেরে ফেলে তরুণী।
এরপর বাবা-মা যখন বাড়িতে ফিরে আসে কাউকে কিচ্ছু বুঝতে দেয়নি তরুণী। দু’বোনের মৃত্যুতে বাবা-মায়ের সামনে শোকের নাটক করতে থাকে। এদিকে ঘটনার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথম দিকে পুলিশেরও সন্দেহ হয়নি তরুণীর আচরণ নিয়ে। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোয়, ততই বিষয়টি খোলসা হতে শুরু করে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সেই কোদাল। যাতে রক্তের দাগ লেগে ছিল। কোদাল ধুয়ে পরিস্কার করার চেষ্টা হয়েছিল। কিছু জামাকাপড়ও ধুয়ে পরিস্কার করা হয়েছিল। সেই পোশাকও উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ জানতে পারে তরুণীর প্রেমের কথা। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পুলিশের সামনে ভেঙে পড়ে সে। স্বীকার করে নেয় গোটা ঘটনার কথা। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে নেয় পুলিশ।
এএসপি সত্যপাল সিং জানাচ্ছেন, পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল, তখন ওই তরুণী একদম শান্ত ছিল। কিন্তু এই অতিরিক্ত শান্ত আচরণ দেখেই প্রথম সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের মনে। তরুণীর বয়ানেও একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। দু’বোনের রক্তমাখা দেহ পড়ে থাকতে দেখেও একেবারে অবিচল ছিল সে। সেই অবস্থাতেই খুনের পর কোদাল পরিস্কার করে নিজের হাতে। প্রেমিককে বাড়িতে পাঠায়। তারপর রক্তমাখা জামাকাপড়ও ধুয়ে ফেলে।