জিমে পরিচয়, বাড়ির সামনেই মাথায় গুলি করে হত্য়া গৃহবধূকে; পরে আত্মঘাতী যুবকও
Woman shot dead in Delhi: প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে এসেছিল আশিস। রেণুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পায়ে হেঁটেই সেখান থেকে চলে গিয়েছিল।
বছর কয়েক আগে তাঁরা একই জিমে শরীর চর্চা করতে যেতেন। সেটাই ছিল দুজনের যোগসূত্র। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির ডাবরি এলাকায়, এক ৪০ বছর বয়সী গৃহবধূকে তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে আশিস নামে এক ২৩ বছর বয়সী যুবকের বিরুদ্ধে। রেণু গোয়েল নামে ওই মহিলার মাথায় গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল আশিস। পুলিশ জানিয়েছে, পরে নিজের বাড়ি ছাদে একটি দেশীয় পিস্তল ব্যবহার করে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছে আশিস। পুলিশ বলেছে, “ঘটনাস্থলের কাছেই এক বাড়িতে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত অভিযুক্ত। আমাদের একটি দল ওই বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়ির ছাদে অভিযুক্তকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার পাশেই দেশি পিস্তলটি পড়েছিল।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, রাত পৌনে দশটা নাগাদ এই হত্যার বিষয়ে ডাবরি থানায় খবর এসেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছিল, বাড়ির কাছেই এক জায়গায় পড়ে আছেন রেণু। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছিল। অবিলম্বে গুরুতর আহত রেণুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর, অভিযুক্ত আশিসকে ধরতে একাধিক দল গঠন করা হয়েছিল। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে তাকে শনাক্ত করা হয়। তবে, তার বাড়ি গিয়ে তাকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আশিসের দেহের পাশে যে দেশি পিস্তলটি পাওয়া গিয়েছে, সেই পিস্তল দিয়েই রেণুকেও হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে এসেছিল আশিস। রেণুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পায়ে হেঁটেই সেখান থেকে চলে গিয়েছিল।
দ্বারকার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই এই হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে, সমস্ত দিক থেকে মামলাটির তদন্ত করা হচ্ছে। স্বামীর সঙ্গে রেণুর সম্পর্ক ভালই ছিল। তাঁদের তিন সন্তানও রয়েছে। জিমে শরীর চর্চা করতে গিয়ে আশিসের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। তার থেকে এই অসমবয়সী দুজনের মধ্যে কোনও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।