Brutal Murder: শিশুর মাথা থেঁতলে, নলি কেটে নৃশংস কীর্তি নাবালকদের, প্ল্যাস্টিক ব্যাগ থেকে উদ্ধার দেহ
Brutal Murder in Madhya Pradesh: শিশুর নলি কেটে, মাথা থেঁতলে খুন করল নাবালকের দল। পুরনো শত্রুতা থেকেই এমন নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সেওনি: নৃশংস হত্যার নজির মিলল মধ্য প্রদেশের সেওনি জেলা থেকে। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে তিনজন নাবালক। নিজেদের এক বন্ধুকেও শ্বাসরোধ করে খুন করল এই নাবালকের দল। এই খুনের বর্ণনা বীভৎস। ১২ বছরের এক ছেলেকে প্রথমে সাইকেলের চেন দিয়ে শ্বাসরোধ করেছে। তারপর পাথর দিয়ে মাথা থেতলে দিয়েছে। ধারাল ছুরি দিয়ে গলার নলিও কেটে দিয়েছে নাবালকের দল। তারপর এই রক্তাক্ত, ছিন্নভিন্ন নিথর দেহ প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে বাড়ির কাছের পাথরের স্তূপে ফেলে রেখেছে। মৃতদেহ দেখে গা গুলিয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে এলাকায়।
এক মহিলা প্রথমে রাস্তার ধারে একটি ব্যাগ দেখতে পান। সেখানে রক্তের ছাপ ছিল। তা দেখেই পুলিশে খবর দেন তিনি। বারঘাট থানার পুলিশ এসে ব্যাগ খুলতেই ১২ বছরের কিশোরের বীভৎস দেহ বেরিয়ে আসে। ছেলেটির নলি কাটা। মাথা থেতলে গিয়েছে। সোমবার মধ্য প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, পুরনো শত্রুতার কারণেই এইভাবে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই তিন নাবালককে এই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল তাদের আদালতে পেশও করা হয়েছে। তাদের ১৪ দিনের জন্য সংশোধনাগারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বারঘাট থানার ইনস্পেক্টর প্রসন্ন শর্মা বলেছেন, ” ১৬, ১৪ ও ১১ বছর বয়সী তিনজন রবিবার সিওনি জেলা সদর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে মাগারকাঠা গ্রামের একটি নির্জন স্থানে ১২ বছর বয়সী ছেলেটিকে ডেকে নিয়ে যায়।” পুলিশ সূত্রেই জানা যাচ্ছে, হঠকারিতার মধ্যে এই খুন করা হয়নি। পরিকল্পিতভাবে এই খুন হয়েছে। আগে থেকেই ১২ বছর বয়সী এই নাবালককে একটি নির্জন স্থানে ডেকে পাঠায় নাবালকের দল। সেখানে পৌঁছতেই ওই কিশোরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। সাইকেলের চেন দিয়ে গলা চেপে ধরে। ব্যথায় চিৎকার করে ওঠে সে। সেই সময় একটি বড় পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে তারা। আর ধারাল ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেয় নাবালকের। পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণ ছাগল কাটার জন্য এই ছুরি ব্যবহার হয়ে থাকে। এদিকে যাতে আশেপাশের কেউ টের না পান তার জন্য ওই নাবালকের দেহ তিনজন মিলে একটি প্লাস্টিকের মধ্যে পুড়ে একটি পাথরের স্তূপের উপর ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর এক মহিলার থেকে খোঁজ পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্তও করছে পুলিশ।





