Mumbai: হাইওয়ের পাশে পড়েছিল ব্যাগটা, খুলতেই শিউরে উঠল পুলিশও
Minor girl's body found in a bag on Maharashtra highway: মহারাষ্ট্রে মুম্বই-আহমেদাবাদ হাইওয়ের পাশে একটি সন্দেহজনক ব্যাগ চোখে পড়তেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন এক পথচারী। ঘটনাস্থলে এসে ব্যাগ খুলতেই শিউরে উঠেছিলেন পুলিশ সদস্যরা।

মুম্বই: হাইওয়ের পাশে পড়ে ছিল একটি সন্দেহজনক ব্যাগ। চোখে পড়েছিল এক পথচারীর। তিনিই খবর দিয়েছিলেন স্থানীয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে এসে ব্যাগ খুলতেই শিউরে উঠেছিলেন পুলিশ সদস্যরাও। ভিতরে এক নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ। আর সেই দেহ মিলতেই এক অপহরণের মামলা বদলে গেল হত্যা মামলায়। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায়। দেহটি পালঘর জেলায় পাওয়া গেলেও, নিহত নাবালিকার বাড়ি মুম্বইয়ের আন্ধেরি এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে স্থানীয় স্তরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৬ অগস্ট) পালঘর জেলার ভাসাইয়ে, মুম্বই-আহমেদাবাদ হাইওয়ের পাশে ওই ব্যগটি পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনাস্থল নাইগাঁও সেতুর কাছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা। দুপুর ২টো নাগাদ এক পথচারী ব্যাগটি লক্ষ্য করেছিলেন। তিনিই ভ্যালিভ থানার পুলিশকে সতর্ক করেন। এরপর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। ব্যাগটি খুলতেই দেখা যায়, তার ভিতর এক নাবালিকার মৃতদেহ ভরা রয়েছে। তার দেহে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ভাসাইয়ের এক সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে শুরু হয় দেহটি শনাক্ত করার কাজ।
পুলিশ জানতে পারে, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের আন্ধেরি এলাকা থেকে এক ১৫ বছর বয়সী মেয়ে নিখোঁজ বলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। ওই পরিবারকে ডেকে আনা হয়। তাঁরাই দেহটি শনাক্ত করেন। মুম্বই পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, “নির্যাতিতা মুম্বইয়ের আন্ধেরি এলাকায় থাকত। আন্ধেরি থানায় তার বিষয়ে একটি অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দেহটি শনাক্ত করার পর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় একটি হত্যার মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে সে প্রতিদিনের মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সাধারণত বিকেলেই সে স্কুল থেকে ফিরে আসে। কিন্তু, শুক্রবার সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি আসেনি। এরপরই, আন্ধেরি থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে মেয়েটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। ভ্যালিভ থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। সূত্রের খোঁজে তারা আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনার তদন্ত বিশেষ এগোয়নি।





