Ayodhya Ram Mandir: জেলবন্দি মুসলিম কয়েদি নিজের বেতন দান করলেন অযোধ্যার রাম মন্দিরে
Ayodhya Ram Mandir: সংশোধনাগারের জেলারকে জিয়াউল অনুরোধ করেছিলেন যাতে তাঁর এক মাসের বেতনের টাকা রাম মন্দিরে দান করা হয়। সেই মতো চেক ইস্যু করা হয়েছিল গত ১৭ জানুয়ারি। গত বুধবারই রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট সেই চেক পেয়েছে। চেকের সঙ্গে জেলের সুপারের কাছে সংশোধনাগারের আবাসিকের লেখা একটি চিঠিও রয়েছে।
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আরও এক অনন্য চিত্র ধরা পড়ল অযোধ্যায়। জেলবন্দি মুসলিম কয়েদি সংশোধনাগারে কাজ করে তাঁর উপার্জিত অর্থ দান করলেন অযোধ্যায় রাম মন্দিরে। জিয়াউল হাসান নামে ওই দোষী সাব্যস্ত আসামি বর্তমানে ফতেপুর সংশোধনাগারে রয়েছেন। সংশোধনাগারে ঝাড়ু দিয়ে তিনি মাসে ১,০৭৫ টাকা উপার্জন করেন। সংশোধনাগারে বন্দিদশায় নিজের গোটা এক মাসের বেতন এবার শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টে দান করলেন তিনি।
সংশোধনাগারের জেলারকে জিয়াউল অনুরোধ করেছিলেন যাতে তাঁর এক মাসের বেতনের টাকা রাম মন্দিরে দান করা হয়। সেই মতো চেক ইস্যু করা হয়েছিল গত ১৭ জানুয়ারি। গত বুধবারই রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট সেই চেক পেয়েছে। চেকের সঙ্গে জেলের সুপারের কাছে সংশোধনাগারের আবাসিকের লেখা একটি চিঠিও রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘আমি নিজের শ্রমের বিনিময়ে অর্জন করা বেতন স্বেচ্ছায় রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টকে দান করতে চাই। আপনার কাছে অনুরোধ, ট্রাস্টের নামে যেন একটি চেক করে এই টাকা পাঠানো হয়।’
এই জিয়াউল হাসানের বিষয়ে রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কাছে এর বেশি কোনও তথ্য নেই। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, এটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই মুসলিম ভাইয়ের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। হতে পারে তিনি অন্য ধর্মের, কিন্তু রাম প্রত্যেকের আধ্যাত্মিক নেতা, তিনি কেবল একটি ধর্মের নন। ভগবান রামের জীবন এবং তাঁর থেকে পাওয়া শিক্ষা দেশের মেরুদণ্ড।’