Bagtui Case in Supreme Court: বগটুই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিন্দু সেনার সভাপতির
Supreme Court: গত সোমবার বগটুইয়ে এক তৃণমূলের উপপ্রধানকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
বীরভূম: বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হল। হিন্দু সেনার সর্বভারতীয় সভাপতি এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের হয়। সিট বা সিবিআই দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানো হোক বলেই মামলাকারী আর্জি জানিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলায় মূলত আর্জি জানানো হয়েছে, একজন অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্ত করা হোক। যদি তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে অতি অবশ্যই যেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)-এর হাতে এই তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়। সিট তদন্ত করুক বা সিবিআই, এ ক্ষেত্রে স্থানীয় থানায় যতগুলি এফআইআর দায়ের হয়েছে, মামলা যতদূর এগিয়েছে তা যেন তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টেও রামপুরহাটের বগটুই নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সবক’টি মামলা একত্রিত করেই বৃহস্পতিবার শুনানি হয়েছে আদালতে। সেখানেও মামলাকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন। এদিন শুনানি পর্ব শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়। শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব রায় দেবেন। নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
গত সোমবার বগটুইয়ে এক তৃণমূলের উপপ্রধানকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সোনা শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সাতজনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। আরও একজনের মৃত্যু হয় রামপুরহাট হাসপাতালে। এই ঘটনা ঘিরে নিন্দার ঝড় ওঠে রাজ্যজুড়ে। মানবাধিকার কমিশন থেকে মহিলা কমিশন, সকলেই এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নিজেরাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Calcutta High Court to pronounce the order tomorrow on Rampurhat, Birbhum incident. A PIL was filed demanding an inquiry by a central agency. Presently, SIT is investigating the case. pic.twitter.com/8wdfFT3jdY
— ANI (@ANI) March 24, 2022
বৃহস্পতিবারই অকুস্থান ঘুরে দেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিহতদের পরিবারের হাতে সাহায্য তুলে দেন। একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় আনারুল হোসেন নামে রামপুরহাট-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতিকে। ঘটনাস্থলে খোলা জায়গাতেই বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। প্রত্যেক অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Anarul Arrested on Bagtui Massacre: কে আনারুল হোসেন? কেন তড়িঘড়ি গ্রেফতার করালেন মমতা?