AAP vs BJP: কেন্দ্র নাকি রাজ্যের টাকা? রাজধানীর সৌন্দর্যায়ন নিয়ে জি-২০ সম্মেলনের আগেই কাজিয়া আপ-বিজেপির
G-20 Summit: আগামী সেপ্টেম্বর মাসে নয়া দিল্লিতে হতে চলেছে জি-২০ সম্মেলনের মূল বৈঠক। এই বৈঠকের জন্য়ই নব রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দিল্লিকে। সংস্কার থেকে শুরু করে নতুন রঙ করা, বৃক্ষরোপণ, নতুন আলো ও সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার তত্ত্বাবধানে।
নয়া দিল্লি: আগামী মাসের গোড়াতেই রাজধানীতে বসতে চলেছে জি-২০ সম্মেলনের (G-20 Summit) আসর। এই সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) থেকে শুরু করে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ (Emmanuel Macron), কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Macron) মতো তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। তাঁদের স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে দিল্লি। কিন্তু দিল্লির এই ভোলবদল করার জন্য টাকা ব্যয় করল কে? রাজ্য সরকার নাকি কেন্দ্রীয় সরকার? এই নিয়েই বিরোধ শুরু বিজেপি ও আম আদমি পার্টির মধ্যে। একদিকে বিজেপির দাবি, দিল্লিকে সাজিয়ে তোলার জন্য যাবতীয় অর্থ ব্যয় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government), অন্যদিকে দিল্লির শাসক দল আপের দাবি, গোটা খরচই রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে হয়েছে। বিজেপি আবার আপ(AAP)-কে চ্যালেঞ্জ করেছে একটি প্রকল্পের নাম বলতে, যা তাদের টাকায় তৈরি হয়েছে!
চলতি বছরে জি-২০ এর সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন রাজ্যের মেট্রো শহরগুলিতে জি-২০ সম্মেলনের নানা বৈঠক হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে নয়া দিল্লিতে হতে চলেছে জি-২০ সম্মেলনের মূল বৈঠক। এই বৈঠকের জন্য়ই নব রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দিল্লিকে। সংস্কার থেকে শুরু করে নতুন রঙ করা, বৃক্ষরোপণ, নতুন আলো ও সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার তত্ত্বাবধানে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তাকে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অন্যতম হাতিয়ার করতে চায় বিজেপি। সেই কারণে জি-২০ বৈঠকের সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত সপ্তাহেই বিজেপি নেতা বীরেন্দ্র সচদেব বলেন, “জি-২০র জন্য দিল্লি জুড়ে যে সৌন্দর্যায়নের কাজ করেছে দিল্লি সরকার ও পুরসভা, তা কেন্দ্রীয় সরকারের টাকাতেই করা হয়েছে। যদি কেজরীবাল সরকার তাদের ঘোষিত সৌন্দর্যায়নের কাজগুলি করত, তাহলে দিল্লির মার্কেটগুলি ঝকঝকে থাকত।”
পাল্টা জবাবে আম আদমি পার্টির তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, নয়া দিল্লি পৌরসভা বা এনডিএমসির ও ন্যাশনাল হাইওয়ে অথারিটি অব ইন্ডিয়ার অধীনে যে সংস্কার করা হয়েছে, তার অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে। আপ সরকার যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তা নিজের নামে চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এমসিডি যে রোডগুলি হয়েছে, তার জন্য রাজ্ সরকারের তহবিল থেকেই টাকা খরচ করা হয়েছে।
এর আবার পাল্টা জবাব দিতে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করেননি দিল্লির বিজেপি প্রধান বীরেন্দ্র সচদেব। তিনি টুইট করে বলেন, “জি-২০-র জন্য দিল্লির সৌন্দর্যায়নের টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে কেজরীবাল ও তার মন্ত্রীরা এর কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রগতি ময়দান টানেল থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম দেওয়ালে এঁকে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করে। আমি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে চ্যালেঞ্জ করছি একটাও সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের নাম বলতে, যা ওঁর সরকার জি-২০ বৈঠকের জন্য করেছে।”