করোনা রোগীকে কোরোনিল দিলে ‘মিক্সোপ্যাথি’ হবে, কড়া বার্তা চিকিৎসক সংগঠনের

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের উপস্থিতিতেই রামদেব এই কোরোনিলকে ‘করোনার প্রথম প্রমাণ-সহ ওষুধ’ বলে দাবি করেছিলেন।

করোনা রোগীকে কোরোনিল দিলে 'মিক্সোপ্যাথি' হবে, কড়া বার্তা চিকিৎসক সংগঠনের
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Jun 05, 2021 | 4:34 PM

নয়া দিল্লি: রামদেবের পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। আর যোগগুরুকে একের পর এক ইস্যুতে বিঁধছে চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)। রামদেব অ্যালোপেথি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার পর থেকেই রামদেবের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে সরব হয়েছে আইএমএ। রামদেবকে মন্তব্য প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছেন স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্তও। সংঘাত জারি রেখেই এ বার উত্তরাখণ্ডে করোনা রোগীদের কিটে পতঞ্জলীর কোরোনিল দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা জানাল আইএমএ।

চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন জানিয়েছে, কোরোনিলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দেয়নি। আর কেন্দ্রের কোনও নিয়ম নেই, যেখানে করোনা রোগীদের আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেওয়া যায়, তাই উত্তরাখণ্ড সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়মের বিরুদ্ধে বলে দাবি আইএমএর। চিকিৎসকদের দাবি, অ্যালোপেথি ওষুধের সঙ্গে কোরোনিল দিলে তা মিক্সোপ্যাথি হয়ে যাবে। যা সুপ্রিম কোর্টের নিয়মের বিরুদ্ধে। তা প্রয়োগ করার অর্থ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে অবমাননা করা।

উল্লেখ্য, কোরোনিল পতঞ্জলীর একটি পণ্য। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে দাবি নির্মাতা সংস্থার। ফেব্রুয়ারি মাসে রামদেবের এই পণ্যের উদ্বোধনে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও নিতিন গডকরী। এর আগে হরিয়ানার কোভিড কিটে যুক্ত হয়েছিল রামদেবের কোরোনিল। তখনই চিকিৎসকরা এর বিরোধিতা করেছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের উপস্থিতিতেই রামদেব এই কোরোনিলকে ‘করোনার প্রথম প্রমাণ-সহ ওষুধ’ বলে দাবি করেছিলেন। তারপর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এর তীব্র সমালোচনা করেছিল। কী করে একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই রকম ‘অবৈজ্ঞানিক পণ্য’কে দেশের সামনে তুলে ধরেন, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিল চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন। যদিও রামদেব দাবি করেছিলেন কোরোনিলের ‘সার্টিফিকেট অব ফার্মাসিউটিক্যাল প্রডাক্ট’ রয়েছে। পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, প্রথমে ওষুধ হিসেবে অনুমোদন পেলেও পরে এটি ‘ইমিউনিটি বুস্টার’ হিসেবে অনুমোদিত হয়।

কোরোনিল নিয়ে রামদেব দাবি করেছিলেন, বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতেই দেশের সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে এই ‘ওষুধ।’ এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের ভিত্তিতে ১৫০টি দেশে বিক্রি সম্ভব কোরোনিলের। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সাফ জানানো হয়েছিল এরকম কোনও ওষুধকে মান্যতা দেয়নি তারা।

আরও পড়ুন: ‘ইকলজি ও ইকনমি একসঙ্গে এগোবে’, পরিবেশ দিবসে বার্তা নমোর