Dahi Controversy: মাতৃভাষার বদলে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, ‘দহি’ বিতর্কে পিছু হঠল FSSAI

Dahi: চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ক এই সংস্থা জানিয়েছিল, রাজ্যে দইয়ের প্যাকেটে 'দহি' শব্দ লিখতে হবে।

Dahi Controversy: মাতৃভাষার বদলে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, 'দহি' বিতর্কে পিছু হঠল FSSAI
দহি বিতর্ক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2023 | 6:29 AM

চেন্নাই: দইয়ের প্যাকেটে ‘দহি’ লিখতে হবে, নির্দেশ দিয়েছিল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা এফএসএসএআই (FSSAI)। এই নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ জানায় দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও কর্নাটক। তাদের দাবি এভাবে হিন্দি ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমজনতা এর প্রতিবাদে সোচ্চার হন। চাপের মুখে পড়ে নিজেদের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল এফএসএসএআই। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, তামিল কিংবা কন্নড়ের মতো মাতৃভাষাকে দূরে ঠেলে এভাবে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা যদি করা হয়, তাহলে যারা এটা করছে, তাদের দক্ষিণ থেকে ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যেতে হবে। এরপরই ৩০ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা সংস্থা এফএসএসএআই একটি নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, দইয়ের ইংরাজি প্রতিশব্দ ‘ Curd’-এর সঙ্গে ব্র্যাকেটে আঞ্চলিক প্রতিশব্দ ব্যবহার করতে পারবে

চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ক এই সংস্থা জানিয়েছিল, রাজ্যে দইয়ের প্যাকেটে ‘দহি’ শব্দ লিখতে হবে। এদিকে এই শব্দ হিন্দি বলে দাবি করে তা লিখতে অস্বীকার করে দক্ষিণ ভারতের দুই রাজ্য কর্নাটক ও তামিলনাড়ু। তারা এ নিয়ে চিঠি পর্যন্ত লেখে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে এফএসএসএআই।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন এ নিয়ে টুইটারে কড়া বার্তা দেন, ‘হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার এমন প্রবণতা যে দইয়ের প্যাকেটে পর্যন্ত হিন্দি লিখতে বলা হচ্ছে। কন্নড়, তামিল ভাষাকে নিজের রাজ্য থেকেই সরানোর চেষ্টা চলছে। এসব যারা করছে, দক্ষিণের মাটি থেকে তাদের তাড়ানো হবে।’ শুধু স্ট্যালিনই নন, উল্লেখযোগ্যভাবে এফএসএসএআইয়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান কে আন্নামালাইও। তিনিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ওই সংস্থাকে চিঠি লেখেন। দুই রাজ্যের চাপের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হয় তারা।