নয়া দিল্লি: বিক্ষুব্ধদের মন গলাতে উঠে পড়ে লেগেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। গুলাম নবি আজ়াদ(Ghulam Nabi Azad)-র পর এবার আনন্দ শর্মা (Anand Sharma) ও মণীশ তিওয়ারি(Manish Tiwari)-র সঙ্গে কথা বললেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিজের বাসভবনেই ডেকেছিলেন সনিয়া গান্ধী। সেখানে প্রথমেই তিনি আনন্দ শর্মা ও মণীশ তিওয়ারির সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের কাছে দলের বিরুদ্ধে কী কী ক্ষোভ রয়েছে, তা জানতে চান। পরে আরও কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন সনিয়া গান্ধী।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সনিয়া গান্ধীর কাছে দলের বিরুদ্ধে বিশেষ কোনও অভিযোগ জানাননি বিক্ষুব্ধ জি-২৩ র নেতারা। বরং কীভাবে দলের সংগঠন মজবুত করা যায় এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে কীভাবে বিজেপিকে হারানো যায়, তা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আরও কয়েকজন কংগ্রেস নেতা, যারা জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবেই পরিচিত,তাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরই ফের একবার সরব হয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতারা। শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো, সমস্ত কিছু নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়। একাধিক নেতা দলের পরিকাঠামোয় পরিবর্তন আনার দাবি করেছেন। সম্প্রতিই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজ়াদের বাড়িতে দুই দফায় বৈঠকে বসেছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। বৈঠক শেষে বিবৃতিতে তারা জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের হাল ফেরাতে সম্মিলিত নেতৃত্বের প্রয়োজন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও সর্বস্তরের মতামত গ্রহণ করা উচিত।
এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামেন দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী। গত শুক্রবারই তিনি গুলাম নবি আজ়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে গুলাম নবি আজ়াদ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির নির্বাচন, কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে রদবদল এবং সংসদীয় বোর্ডকে মজবুত করার মতো একাধিক দাবি সামনে রেখেছিলেন।