নয়া দিল্লি: দেশ তথা বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্ক। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট (New Variant of COVID-19) ইতিমধ্যেই বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের ২১টি রাজ্যেও পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন, কিন্তু এখনও এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছর কেমন হতে চলেছে, তা নিয়ে যখন উদ্বেগ বাড়ছে, সেই সময়ই দিল্লির এইমস(AIIMS)-র ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria) বুধবার সাধারণের উদ্দেশ্যে বললেন, “আতঙ্কিত হবেন না, তবে সতর্ক থাকুন”।
দিল্লির এইমসের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয় বুধবার। সেই ভিডিয়োতেই ডঃ গুলেরিয়া সকলকে নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমি এই সুযোগে সকলকে অত্যন্ত শুভ, স্বাস্থ্যকর ও মঙ্গলময় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি, এই সময়ে বোঝা প্রয়োজন যে প্যান্ডেমিক এখনও শেষ হয়নি, তবে আমরা কিছুটা ভাল জায়গায় অবস্থান করছি।”
ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, “বর্তমানে দেশের একটি বড় সংখ্যক মানুষই করোনা টিকা পেয়েছেন, তারপরও সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে। সেই কারণেই আমাদের করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি যেমন মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলা, যাতে কোনও জায়গা সুপার স্প্রেডারে পরিণত না হয়।”
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে এইমস প্রধান জানান, এখনও অবধি প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গিয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট খুব একটা শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট নয়। ওমিক্রনে আক্রান্তদের দেহে হঠাৎ করে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের পতনও হয় না, সুতরাং মনে করা হচ্ছে এবারে অক্সিজেনের তেমন প্রয়োজন পড়বে না।
তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে, দেশ যখন চরম অক্সিজেন সঙ্কটের মুখে পড়ছিল, সেই সময় যেভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও চিকিৎসা সামগ্রী নষ্ট হয়েছিল, সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কথাও মনে করিয়ে দেন ডঃ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, “করোনার নতুন কোনও ঢেউয়ের কারণে যদি দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তবে তা সামাল দেওয়ার জন্য বর্তমানে আমরা তুলনামূলকভাবে ভাল পরিস্থিতিতে রয়েছি। তাই আমি সকলকে অনুরোধ করব আতঙ্কিত হবেন না, তবে সতর্ক থাকুন। সংক্রমণের শৃঙ্খলের অংশ যাতে না হয়ে ওঠেন আপনি, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮১। দেশে সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে দিল্লি থেকে, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৮। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র (১৬৭), গুজরাট (৭৩), কেরল (৬৫), তেলঙ্গনা (৬২), রাজস্থান (৪৬)। কর্নাটক (৩৪), তামিলনাড়ু (৩৪), হরিয়ানা(১২)-তেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: Jaisalmer Road Accident: রাজস্থানে ঘুরতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনা, মৃত্যু বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক-লেখিকার
আরও পড়ুন: Omicron: করোনার শেষ! প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি ‘টিকা’ হয়ে উঠবে ওমিক্রন?