আগামী ঢেউ নির্ভর করছে দুটি বিষয়ের উপর, সংক্রমণ নিয়ে বিশেষ বার্তা এইমসের চিকিৎসকের
লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ডঃ নিশ্চল জানান, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর সকলে করোনাবিধি মানতে বাধ্য হয়েছিল এবং তারফলেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। আটকানো গিয়েছিল বড় ঢেউকে।
নয়া দিল্লি: দেশে ক্রমশ করোনা সংক্রমণ কমাতেই একাধিক রাজ্যে জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। শপিং মল, বাজার হাটে ফের দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। এরমই মাঝে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা ক্রমাগত সতর্ক করে যাচ্ছেন সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। ইতিমধ্যেই এইমস কর্তা জানিয়েছেন আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে কোন কোন বিষয়ের উপর সংক্রমণের ঢেউ নির্ভর করছে, তা জানালেন এইমসের চিকিৎসক নীরজ নিশ্চল।
যে কোনও মহামারির ক্ষেত্রেই দুটি বিষয়ের উপরই সংক্রমণের সমস্ত কিছু নির্ভর করে বলে জানান ডঃ নিশ্চল। তিনি বলেন, “মূলত ভাইরাস সম্পর্কিত এবং মানব সম্পর্কিত ফ্যাক্টরের উপরই সংক্রমণের ওঠানামা নির্ভর করে। ভাইরাসের মিউটেশন রোখা সাধারণ মানুষের হাতে না থাকলেও, সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধ মেনে চলার দায়িত্বভার সম্পূর্ণ রূপেই সাধারণ মানুষের হাতে রয়েছে।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে করোনাভাইরাসের মিউটেশন ঘটায় তা আরও সংক্রামক হয়ে গিয়েছে। এতো আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে আমরা যদি ভাইরাসকে দেহে প্রবেশ করতে না দিই, তবে মিউটেশনের সম্ভাবনাও কম থাকে। এর জন্য প্রয়োজন করোনাবিধি অনুসরণ করা। বিগত ১৫-১৬ মাস ধরে আমরা করোনাবিধি নিয়ে কথা বলছি এবং সকলেই জানি যে অতি সাধারণ স্বাস্থ্যবিধিগুলি মেনে চললেই সংক্রমণের ঢেউ এড়ানো সম্ভব। করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর সকলেই মাস্ক পড়া বা সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা সম্পর্কে গা ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছেন, যার ফলে দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহভাবে আছড়ে পড়েছিল।”
লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ডঃ নিশ্চল জানান, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর সকলে করোনাবিধি মানতে বাধ্য হয়েছিল এবং তারফলেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। আটকানো গিয়েছিল বড় ঢেউকে। সুতরাং আমরা করোনাবিধি মানলেই সংক্রমণ আটকানো সম্ভব। যদি করোনা আক্রান্তও হন, তবে তা যেন গুরুতর আকার ধারণ না করে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্বও আমাদের হাতেই রয়েছে বলে জানান এইমসের চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: যোগ দিবসেই শুরু হচ্ছে টিকাকরণ মহা অভিযান, একদিনেই ১০ লক্ষ মানুষের টিকাকরণের লক্ষ্য শিবরাজ সরকারের